ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে
প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি বলেন, মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানাতে দেওয়া হবে না। সরকার ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে তীব্র গণ–আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় ঢাকার শীর্ষ স্থানীয় আলেমদের এক জরুরি সভায় নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণবিরোধী ইমানি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি মহল অবিরতভাবে আলেম-উলামার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এমনকি বরেণ্য শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (রহ.) ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম (রহ.) সম্পর্কেও চরম আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন তুলে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করছে।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, সরকারকে অনতিবিলম্বে এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে ইসলামবিরোধী প্রাণী বা আবক্ষ মানবভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
নূর হোসাইন কাসেমীর প্রেস সচিব মুনির আহমদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন, মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে কূটকৌশলের পার্থক্য তৈরি করে প্রাণী বা আবক্ষ মানবভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সভায় আরও বক্তব্য দেন মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন প্রমুখ।
সভায় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ বিভিন্ন উলামায়ে কেরামের মাহফিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।