ভারতের সব চাহিদা মেটাব, আমাদের একটাও মিটবে না?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এ জন্য আমরা আস্বস্ত হই। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রমাণ করব কীভাবে? প্রমাণ কি এভাবে করতে হবে যে ভারতের সব চাহিদা, সেগুলো মেটাব আর আমাদের যে সমস্যা, তার একটাও মিটবে না?

আজ সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফখরুল।

বিএনপি নেতা ফখরুলের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বিনা বিচারে বাংলাদেশিরা নিহত হচ্ছেন। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫১০ জন এবং ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা করাটা জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুলের ভাষ্য, ভারতের সরকার বা ওই দেশের নাগরিকের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনো বক্তব্য নেই। দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ে তাঁরা কথা বলছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না সরকার। ফখরুল বলেন, এসব সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে সরকার কোনো কথা বলবে না, ভারত নীরব থাকবে, চীন উল্টো ভেটো দেবে। আর বলা হবে আমরা খুব চমৎকার পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করছি। ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এ ধরনের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।

৩০ ডিসেম্বর সরকারের দুই বছর পূর্তি হচ্ছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে ওই দিন সারা দেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যৌথভাবে প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা, ব্যর্থতা ও দুর্নীতির করণে গোটা জাতি এখন নির্বাচন কমিশনের অপসারণ চায়। ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি সেই সত্যতা প্রমাণ করেছে। ৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময় দিবসের দ্বিতীয় বছর পূরণ হবে।

সম্প্রতি বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন খান ও শওকত মাহমুদকে শোকজ দেওয়ার পর তাঁরা জবাবও দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে বিএনপির মহাসচিবকে প্রশ্ন করা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আছে। বড় দলে দু–একটি ঘটনা ঘটবে। এটাকে এত বড় করে যাঁরা দেখছেন, তাঁরা ঠিকভাবে দেখছেন না। বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।