বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে জগন্নাথপুরের আফসানা
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই এমপি হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আফসানা বেগম। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মেয়ে। বাবার পথ ধরে রাজনীতিতে আসেন আফসানা। তাঁর নির্বাচিত হওয়ার খবরে এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।
আফসানা পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে ভোটে দাঁড়ান। লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৬০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী শন ওক পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৭৫৬ ভোট। অর্থাৎ প্রথমবার নির্বাচন করেই বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আফসানা। তাঁর বিজয়ের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চারজন।
আফসানার বাবা প্রয়াত মনির উদ্দিন জগন্নাথপুর পৌরসভার লুদুরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনিও ছিলেন লেবার পার্টির সদস্য। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর গ্রামের প্রবাসী সৈয়দ সাজিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবা মনির উদ্দিনের অনুপ্রেরণায় আফসানা রাজনীতিতে আসেন। তিনি যুক্তরাজ্যের মাটিতে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। জগন্নাথপুরের মেয়ে হিসেবে তাঁর এই জয়ে আমরা সবাই গর্বিত।’
জগন্নাথপুরের মেয়ে হলেও আফসানা বেগমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যেই। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আবাসন বিভাগে কর্মরত। আর লেবার পার্টির টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার সহসভাপতি হিসেবে আছেন। আবার দলের লন্ডন রিজিয়ন শাখার সদস্য। তিনি যে পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে জিতেছেন, সেটি পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় পড়েছে। এটি লেবার পার্টির নিরাপদ আসন হিসেবে পরিচিত। প্রায় দুই দশক এখানে এমপি ছিলেন দলটির নেতা জিম ফিটজপেট্রিক। তবে চলতি বছরের শুরুতে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন। এরপর অনেকটা চমক জাগিয়ে দলের মনোনয়ন পান বয়সে তরুণী আফসানা বেগম।
আফসানার এমপি নির্বাচিত হওয়ার খবরে জগন্নাথপুরে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বইছে তাঁকে অভিনন্দনের ঝড়। জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘আফসানার বিজয়ে আমরা গৌরবান্বিত। তিনি শুধু জগন্নাথপুর নয়, পুরো বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন।’