ফলাফল যা-ই হোক, জনগণের মনে জায়গা করে নিয়েছি: ইশরাক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ফলাফল যা–ই ঘোষণা করা হোক, জনগণের মনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। জনগণের মেয়র হয়ে গিয়েছেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
আজ শনিবার ভোট শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে জুরাইন শেখ কামাল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ভোটারদের ভয় পায়, ভোট কে ভয় পায়। তাদের দলের সিনিয়র নেতা আব্দুর রহমান বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল কর নিয়ন্ত্রণ করো, সেটার চিত্র তো আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
ইশরাক বলেন, ‘আমরা তো বলেছি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চাই না। এ জন্য আমাদের কর্মীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দিইনি। আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে, কিন্তু সেটা তো হয়নি। পরবর্তী করণীয় কী হবে, এটা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হবে।’
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমি শুরুতেই বলে এসেছি, বাংলাদেশের মানুষ এটাতে অভ্যস্ত না। অনেক শিক্ষিত মানুষের এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে অসুবিধা হয়ে যায়। সেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকজন কীভাবে এই পদ্ধতিতে ভোট দেবেন। আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার পর পাশে থাকা বুথে যেকেউ চাপ দিয়ে দিতে পারছে। নির্বাচনের শুরু থেকে আমি বলে আসছি এই কাজটি হবে।’
জুরাইন শেখ কামাল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনের পর ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ভোটকেন্দ্রে একটা কাকপক্ষীও নেই। একজন ভোটারও দেখছি না। মূল ফটক এবং ভেতরে ফটকে আমরা এসে তালা মারা দেখেছি। আমরা প্রবেশ করার পর তড়িঘড়ি করে তালা খুলে খুলে দেওয়া হয়েছে।’
এই কেন্দ্রে মেশিনে ধানের শীষের মার্কা ওঠেনি—এমন অভিযোগ এসে পেয়েছেন বলে জানান ইশরাক। তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম। উনি পুরো ব্যাপারটা অস্বীকার করার চেষ্টা করলেন।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘জনমানবশূন্য ভোটাকেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই, অথচ ঁতারা বলছেন এখানে ভোট হচ্ছে। যতগুলো কেন্দ্রে ঘুরেছি, সব কটিতে একই চিত্র দেখেছি। আমাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেরা নিজেরা ভোট সম্পন্ন করেছে।’
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গোপীবাগের বাসায় পৌঁছে বিএনপি'র এই মেয়র প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, লড়াইয়ের নতুন যাত্রা শুরু হলো।