প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে ঐক্যফ্রন্ট খোলামেলা আলাপ করতে পারে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে চা-চক্রের আয়োজন করেছেন, সেখানে যোগ দিয়ে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট খোলামেলা আলাপ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আহ্বান বিএনপি বর্জন করেছে। এটা তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির কারণে খাদের কিনারে চলে এসেছে। বিএনপি যদি তাদের চিরাচরিত নেতিবাচক রাজনীতির ধারা আঁকড়ে ধরে থাকে, তাহলে তারা অন্ধকারে খাদে পড়ে যাবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সদস্যদের সংসদে না যাওয়ার প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সংসদ বর্জন করা দলের জন্য ক্ষতিকর। নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। রাজনীতিতে জোয়ার-ভাটা আছে। ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি সংসদ বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটালে সেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। তাদের নিজের অস্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত সংসদে না থেকেও নির্বাচনে তারা যতটুকু বিজয়ের অংশীদার হয়েছে, এটা নিয়েই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদের ভেতরে-বাইরে দুই ক্ষেত্রেই আন্দোলন করা যায়। তারা সংসদে গেলে বিরোধী কণ্ঠ উচ্চারিত হবে।
মানুষ আন্দোলনের আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১০ বছরে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপি সাড়া জাগানোর মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর আন্দোলনের কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যার মাধ্যমে তাদের সাফল্য আসে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, জনগণ যদি সাড়া না দেয়, সাফল্য আসবে না।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের আটজন সদস্য সংসদে গিয়ে জোরালো ভাষায় কথা বলে সংসদের ভেতরে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন। এই নির্বাচনের পর বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘও সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য চিঠি দিয়েছে। বিএনপি যদি এ অবস্থায়ও সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরে, তাহলে তারা আরও বড় ভুল করবে। বিদেশেও তাদের বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিদেশে তাদের বন্ধু বলে কেউ থাকবে না।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতেও বিভিন্ন হলে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ছিল। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।