প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিহিংসা নয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি কোনো ধরনের প্রতিহিংসা না দেখাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ সোমবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিহিংসায় যাবেন না। যেটা আমরা অতীতেও যাইনি। ২০০১ সালে আমাদের অনেক বেদনা আছে। ২০১৪ সালেরও আছে। তখন আমাদের অনেককে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বছরের পর বছর বাইরে থাকতে হয়েছে। আমি তার কোনটির পুনরাবৃত্তি করব না। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমি প্রতিপক্ষের ওপর কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেওয়ার পক্ষপাতী নই।’ তিনি নির্বাচনে বিজয় পেয়ে ‘আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে এ বিজয় উদ্যাপন করুন। নতুন বছরে আমরা উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখব। সুশাসনকে প্রিয় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার এসব কথা শুধু এখানে প্রযোজ্য নয়। এসব কথা বৃহত্তর নোয়াখালীসহ সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনারও একই নির্দেশ।’ নেত্রীর নির্দেশনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতা-কর্মীকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান জানাব, আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম যেন মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণে পরিণত হয়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলের যে শিক্ষা, বঙ্গবন্ধুর যে শিক্ষা, শেখ হাসিনার যে শিক্ষা, তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তিনি আত্মসমালোচনা করে বলেন, ভুল মানুষই করে। অতীতে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমরা অতীতের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পথে যাত্রা করব। ভুল সংশোধন করার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। সব ভুল সংশোধন করে আমরা নতুন করে যাত্রা শুরু করব। উন্নয়ন নিয়ে ভালো আচরণ নিয়ে আমরা একটি ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে এগিয়ে যাব।’
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাতারাতি কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। এখন দরকার গ্যাস সংযোগ ও বেকার তরুণ সমাজের কর্মসংস্থান। পর্যায়ক্রমে এসব সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।