পাঁচ বছরে নুরুন্নবীর আয় বেড়েছে প্রায় সাত গুণ

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন,হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন,হাফিজ উদ্দিন আহমেদ

ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের আয় পাঁচ বছরে বেড়েছে প্রায় সাত গুণ। অস্থায়ী সম্পদ বেড়েছে ১৬ গুণ। অন্যদিকে গত ১০ বছরের ব্যবধানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদের আয় বেড়েছে পাঁচ গুণ। দুজনেই ঋণমুক্ত।

প্রার্থীদের আগের ও বর্তমান হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের বিএনপি প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম। তিনি ছয়বার ভোলা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী এই আসন থেকে দুবার নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় লেখেন, তাঁর বার্ষিক আয় ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। এবার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত ৫ বছরে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

২০১৪ সালে তিনি বাড়ি ও দোকানভাড়া দিয়ে সাত লাখ টাকা এবং ব্যবসা থেকে আয় করেন দুই কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় ছিল ৩০ লাখ টাকা। এবার হলফনামায় লিখেছেন, ভাড়া পাচ্ছেন ১১ লাখ টাকা। ব্যবসা থেকে পেয়েছেন ১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে পান ১০ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর আয় ৪৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

সাংসদ নুরুন্নবী দশম সংসদ নির্বাচনের সময় অস্থায়ী সম্পদ দেখিয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ও ১০ ভরি সোনা। আর স্ত্রীর কাছে ছিল প্রায় ৩১ লাখ টাকার অস্থায়ী সম্পদ ও ৩৫ ভরি সোনা। এবার অস্থায়ী সম্পদ দেখিয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার, যা আগের তুলনায় বেড়েছে ১৬ গুণ। আর তাঁর স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সম্পত্তি।

১০ বছরের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহমদের বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। এবার তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আয় আসছে বাড়ি, দোকানভাড়া ও ভাতা থেকে। ২০০৮ সালে দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় হাফিজ উদ্দিনের অস্থায়ী সম্পদ ছিল প্রায় ৩৪ লাখ টাকার। স্ত্রীর কাছে নগদ ছিল ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৬৯ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং সোনা ৩০ ভরি। ১০ বছর পর হাফিজ উদ্দিনের অস্থায়ী সম্পদ আছে ৭২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর আছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পত্তি।