নৌকায় ভোট দিলে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন সামনে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছে। নৌকায় ভোট দিলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।

রংপুরের তারাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী আসেন নির্বাচনী জনসভাস্থলে। এরপর তুমুল করতালি। হাস্যোজ্জ্বল মুখে প্রধানমন্ত্রী ওঠেন মঞ্চে। হাত নাড়েন উপস্থিত জনতার উদ্দেশে। শুরু করেন বক্তৃতা। মাত্র সাত মিনিটে বক্তব্য শেষ করে শেখ হাসিনা পীরগঞ্জে নির্বাচনী জনসভা করার উদ্দেশ্যে সড়কপথে রওনা হন।

এই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খাবারের ব্যবস্থা করেছি। কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না। বিনা পয়সায় মানুষ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। প্রতিটি মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য এখন আর বই কিনতে হয় না। নতুন বই আমরা দিয়ে দিচ্ছি। উপবৃত্তি দিচ্ছি। মোবাইল ফোনে মায়েদের কাছে বৃত্তির টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। নৌকায় ভোট দিলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।’

আওয়ামী লীগের শাসন আমলের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুস্থ, অসহায় মানুষের জন্য দুস্থ ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা দিচ্ছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। এখন আর মঙ্গা নেই। খাদ্যসংকট নেই। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ করে দিয়েছে। এসব হয়েছে নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে আধুনিক মসজিদ ও কালচার সেন্টার করে দিচ্ছি। তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছি। ন্যাশনাল সার্ভিস চালু করেছি। বেকারদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। গৃহহারাদের জন্য গৃহের ব্যবস্থা করেছি। মানুষ গৃহহারা থাকবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে মাত্র ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে দুই লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছি। কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সার–বীজ সহজলভ্য করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগের আমলে কৃষকের উন্নয়ন হয়। সারের সমস্যা হয় না। উৎপাদিত পণ্যের মূল্য আমরা নিশ্চিত করেছি। এখন এক ইঞ্চি মাটিও অনাবাদি থাকে না। দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করেছি। আমরা ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয়।’

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক ওরফে ডিউক চৌধুরীকে পরিচয় করে দিয়ে বলেন, ‘ডিউককে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। তাঁকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’