দেশে এখন সাংবিধানিক একনায়কত্ব চলছে

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা। প্রথম আলোর সঙ্গে তাঁর কথা হয় দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র, সরকারি দল ও বিরোধী দলের সম্পর্ক এবং নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান

জি এম কাদের
ছবি: প্রথম আলো
প্রশ্ন:

প্রথম আলো: সম্প্রতি আপনি এক সমাবেশে বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়া উচিত। এটি কি নিছক কথার কথা, না এই ধারা বাতিলের জন্য সংসদে বিল আনবেন?

জি এম কাদের: ১৯৯১ সালের আগে দেশে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির শাসন ছিল। এরপর আমরা সংসদীয় পদ্ধতির সরকার করলাম। কিন্তু এর মূল যে চেতনা, তা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল কথা হলো সংসদের কাছে সরকার দায়বদ্ধ থাকবে। সংবিধান ও সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে আছে, মন্ত্রী ছাড়া সবাই বেসরকারি সদস্য। অন্যান্য দেশে সাংসদেরা নিজের দলের, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ভোট দিতে পারেন। তাতে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে। এখানে ৭০ অনুচ্ছেদ থাকার কারণে তা পারেন না। আমাদের দেশে যিনি প্রধানমন্ত্রী, তিনিই সংসদ নেত্রী, আবার দলীয় প্রধানও। সে ক্ষেত্রে একজনের হাতেই সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। যেখানে পার্লামেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা, সেখানে প্রধানমন্ত্রীই পার্লামেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ কারণেই আমি ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার কথা বলেছি। আগের সংসদে একটি প্রস্তাবও এনেছিলাম।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: কিন্তু বাংলাদেশে সেই বাস্তবতা কি আছে?

জি এম কাদের: সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র তো চলতে পারে না। ৭০ অনুচ্ছেদের পক্ষে যে কারণ দেখানো হয়েছিল, সেটি দুঃখজনক। এতে যাঁরা সংসদ সদস্য হলেন, তাঁদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা হলো। জনগণের ওপরও অনাস্থা প্রকাশ করা হলো। জনগণ এমন লোকদের নির্বাচন করলেন, যাঁদের ৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে আটকে রাখতে হবে। আমরা বলেছি, সংসদ সদস্যদের কিছুটা হলেও বিশ্বাস করুন। বাজেট ও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেওয়া ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে যাতে তাঁরা স্বাধীনভাবে অবস্থান নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করুন। ৭০ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি উঠিয়ে দিলেও সমস্যা নেই। মনে রাখবেন, যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, বাংলাদেশের জনগণ কখনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন না।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: একসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয়েই জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচারের দল বলত। এখন তিন দলকেই কি আপনি এক কাতারে ফেলছেন?

জি এম কাদের: এরশাদ সাহেবের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক এবং গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান দিয়ে। কিন্তু ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে যে শাসনব্যবস্থা চালু হলো, তাতে স্বৈরতন্ত্রই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, গণতন্ত্র নয়। জাতীয় পার্টির সময় রাষ্ট্রপতির একক ক্ষমতা ছিল। তিনি এই একক ক্ষমতাবলে যেসব কাজ করেছেন, যেমন ঔষধনীতি ও উপজেলা পদ্ধতি চালু—এসব পরবর্তীকালে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু এখন সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে আমরা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছি। শাসনতান্ত্রিকভাবেই এটি হয়েছে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনারা নির্বাচন করলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে। আবার সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছেন। সমালোচকেরা বলেন, আপনারা গৃহপালিত বিরোধী দল। এই অপবাদ কত দিন মেনে নেবেন?

জি এম কাদের: অপবাদটি ঠিক নয়। ২০১৮ সালে আমরা যখন নির্বাচনী জোট করেছি, তখন প্রতিপক্ষ ছিল বিএনপি ও তাদের জোট। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেল, বিরোধী দল হওয়ার মতো আসন বিএনপি পেল না। এ অবস্থায় সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া ও অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার জন্য তো বিরোধী দল দরকার। আমরা সেই ভূমিকাই পালন করছি। জনগণের পক্ষে কথা বলছি। সরকার আমাদের কথা কিছু শুনছে, কিছু শুনছে না। বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল। কিন্তু সংসদ তখন এর চেয়ে ভালো চলেনি। বিরোধী দল যখন দেখছে তাদের প্রতিবাদ ও আপত্তি কাজে আসছে না, তখন সংসদ বর্জন করেছে। আমরা সেই বর্জনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। কিন্তু দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন না কেন? পুরোনো ধারায়ই জাতীয় পার্টিতে মহাসচিব পদে রদবদল হলো। অর্থাৎ চেয়ারম্যান তাঁর ক্ষমতাবলে মহাসচিব নিয়োগ করলেন।

জি এম কাদের: রাজনৈতিক দল ও দেশ এক নয়। রাজনৈতিক দলের কাঠামোতে কিছু বিধান থাকে। দল পরিচালনার জন্য দলীয় প্রধানকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়। কেবল আমাদের দলে নয়, সব দলেই তা আছে। রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র এলে দেশে গণতন্ত্র আসবে—এই ধারণা সঠিক নয়। আর জাতীয় পার্টিতে মহাসচিব নির্বাচন করা হয়েছে দলের গণতন্ত্র অনুযায়ী। গঠনতন্ত্রের কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হয়নি।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: একতরফা নির্বাচন বলে আপনি ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে নির্বাচন করে সংসদে বিরোধী দলে বসেছেন। এই নির্বাচন কি ২০১৪-এর চেয়ে ভালো ছিল? জাতীয় পার্টি কি সরকারের চাপে আগের সিদ্ধান্ত (নির্বাচনে না যাওয়া) থেকে সরে এসেছিল?

জি এম কাদের: আমি প্রথম নির্বাচন করি ১৯৯৬ সালের জুনে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। ২০০১ সালেও তা-ই হয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করেছি। ২০১৮ সালে আমার এলাকায় নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে। ২০১৪ সালে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি নির্বাচন বর্জন করেছি। আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলেছি। আর চাপের কথা বলেছেন, চাপ সব সময়ই থাকে। রাজনীতিতে কখনো চাপ মেনে নিতে হয়, কখনো চাপ উপেক্ষা করতে হয়। রাজনীতি হলো পাওয়ার গেম (ক্ষমতার খেলা)।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: গণতন্ত্রের মূল কথা মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করা। কিন্তু আপনারা সেই অধিকার রক্ষা না করে ভোটাধিকার হরণের সহযোগী হলেন কেন?

জি এম কাদের: আমি ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা আলাদাভাবে বলতে চাই না। স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে যত নির্বাচন হয়েছে, সব নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, কারচুপির অভিযোগ এসেছে, কম বা বেশি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দু-তিনটি নির্বাচন নিয়ে কম প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু ২০০৭ সালে এসে সেই ব্যবস্থাও কাজ করল না। সেটাও নষ্ট হয়ে গেল। যখন যে সরকার এসেছে, তারা নির্বাচনে কারচুপি করেছে।

■ আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি, কিন্তু যেভাবে আমরা অনুশীলন করছি, তা গণতন্ত্র নয়। ■ আমরা বলেছি, সংসদ সদস্যদের কিছুটা হলেও বিশ্বাস করুন। বাজেট ও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেওয়া ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে যাতে তাঁরা স্বাধীনভাবে অবস্থান নিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করুন। ■ রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় বিকল্প শক্তি। এক নম্বর বিকল্প বিএনপি। কিন্তু দলটি এখন নেতৃত্বহীন। ■ রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি সব সময় বিএনপির শূন্যতা পূরণ করেছে। ■ আন্দোলন হয়েছিল ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক এবং গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান দিয়ে। কিন্তু ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে যে শাসনব্যবস্থা চালু হলো, তাতে স্বৈরতন্ত্রই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, গণতন্ত্র নয়। ■ রাজনীতিতে কখনো চাপ মেনে নিতে হয়, কখনো চাপ উপেক্ষা করতে হয়। রাজনীতি হলো পাওয়ার গেম
প্রশ্ন:

প্রথম আলো: দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাটি তো ভেঙে গেছে। উত্তরণের পথ কী?

জি এম কাদের: আমরা সব সময় মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা যদি বাংলাদেশকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে দেখতে চাই, তাহলে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতে হবে। ব্যক্তি ও দলের চেয়ে দেশের ও গণতন্ত্রের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে সব দলের সব নেতাকে এক টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে উত্তরণের পথ দেখি না। আমি মনে করি, আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ওল্ড ফ্যাশন (সেকেলে পদ্ধতি) হয়ে গেছে। পৃথিবীর খুব কম দেশে এখন এই পদ্ধতি (প্লুরালিটি ভোটিং সিস্টেম) চালু আছে। বেশির ভাগ দেশ নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব বা প্রোপোরশনাল ভোটিং পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। আমরাও এ ধরনের ব্যবস্থা চালু করতে পারি। আমি বলেছি, নির্বাচন হবে পার্টি ও প্রার্থীর ভিত্তিতে। প্রত্যেক নাগরিক দুটি ভোট দেবেন। একটি দলকে, একটি প্রার্থীকে। ভোটের অনুপাতে দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। এতে বহুদলীয় গণতন্ত্র টিকে থাকবে। অন্যথায় ছোট ছোট দল কখনোই নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। বর্তমান ব্যবস্থায় ছোট দলগুলো কোনো বড় দলের সঙ্গে জোট করে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারলেও পরে আর তাদের অস্তিত্ব থাকে না। বড় দলে লীন হয়ে যায়।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: জাতীয় পার্টির নিজস্ব রাজনীতি কী? আপনারা বাংলাদেশি জাতীয়তার কথা বলেন। বিএনপিও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কথা বলে। কিন্তু আপনারা জোট বাঁধলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে, যারা নিজেদের বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারক মনে করে।

জি এম কাদের: নব্বইয়ের পর অনেকে বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি ধ্বংস হয়ে যাবে। সেটি হয়নি তার নিজস্ব রাজনীতির কারণেই। জাতীয়
পার্টি সব সময় একটি উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছে। সব দেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা আছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আওয়ামী লীগ মধ্যপন্থী হলেও তাদের ঝোঁকটাই বামের দিকে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টিও মধ্যপন্থী দল। কিন্তু তাদের ঝোঁকটা ডান দিকে। আওয়ামী লীগের জোটে আছে বাম দলগুলো। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে ডানদের নিয়ে জোট করেছে। আমাদের সমস্যা হলো, স্বাধীনতার পর প্রবর্তিত সংবিধানে ডান ধারার কোনো জায়গা ছিল না। জিয়াউর রহমান সাহেব ডানপন্থীদের সঙ্গে নিয়ে একটি জোট করলেন এবং দ্রুত জনপ্রিয়তাও পেলেন। সব ডান সেখানে একত্র হলো। বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর তাদের শূন্য জায়গা এরশাদ সাহেব পূরণ করলেন। রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি সব সময় বিএনপির শূন্যতা পূরণ করেছে। ১৯৯১ সালে যে বিএনপি জয়ী হলো, তার কারণ জাতীয় পার্টির সমর্থকদের বড় অংশ তাদের ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সমস্যা হলো, সব ডানের ভোট বিরুদ্ধে গেলে তারা জিততে পারবে না। এই বিবেচনায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোট হয়।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: নির্বাচনের আগে আপনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছেন। বিএনপির সঙ্গেও যেতে পারেন। কেন এ কথা বলেছিলেন?

জি এম কাদের: কেউ যদি মনে করে তাদের জোট বা সমর্থন চিরস্থায়ী, তা ভুল হবে। যখন যার সঙ্গে জোট করলে জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে, তার সঙ্গেই জোট বাঁধতে পারে। আমরা দ্বিতীয় বিকল্প শক্তি। এক নম্বর বিকল্প বিএনপি। কিন্তু দলটি এখন নেতৃত্বহীন। একসময়ের আপসহীন নেত্রী আপস করেই জেলের বাইরে এসেছেন। এ অবস্থায় বিএনপি জনসমর্থন ধরে রাখতে পারবে না। বিএনপির সমর্থকগোষ্ঠী বিকল্প খুঁজবে জাতীয় পার্টিতে, আওয়ামী লীগে নয়।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: গণতন্ত্রের মূল কথা সুশাসন। কিন্তু সুশাসন কি এসেছে?

জি এম কাদের: সুশাসন হলো আইনের শাসন। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। মানুষ কিন্তু সমাজতান্ত্রিক না ইসলামি শাসন—এসব বুঝতে চায় না। তারা সুশাসন দেখতে চায়। আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি, কিন্তু যেভাবে আমরা অনুশীলন করছি, তা গণতন্ত্র নয়। স্বৈরতন্ত্র কায়েম করছি। ক্ষমতা মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে। অধিক ক্ষমতা অধিক দুর্নীতিগ্রস্ত করে।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

জি এম কাদের: আপনাকেও ধন্যবাদ।