২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

টাকার বিনিময়ে নেতা বানানোর প্রমাণ দিতে পারলে পদত্যাগ করব: আল নাহিয়ান

আল নাহিয়ান খান
। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন সময়ে ওঠা টাকার বিনিময়ে সাংগঠনিক কমিটি গঠন বা নেতা বানানোর অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান। টাকার বিনিময়ে নেতা বানানোর প্রমাণ দিতে পারলে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করতেও রাজি আছেন বলে জানান তিনি৷

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে গত রোববার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আল নাহিয়ান খান এসব কথা বলেন৷ ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে’ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এই সভার আয়োজন করে।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘ছাত্রলীগ অনেক বড় সংগঠন। আমাদের হয়তো কিছু ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি৷ কিন্তু কেউ কেউ নামসর্বস্ব দোকান খুলে ছাত্রলীগকে বিক্রি করেন ৷ তাঁরা মনে করেন, তাঁদের বাইরে আর কোনো ছাত্রলীগ নেই৷ তাঁদের মনোনীত ব্যক্তিকে যখন আমরা নেতা বানাতে না পারি, তখনই তাঁরা ষড়যন্ত্র শুরু করে দেন৷ তাঁরা বলেন যে, আমরা নাকি টাকা খেয়ে নেতা বানিয়েছি৷ তাঁরা যদি এর প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে আইনের মাধ্যমে আমি ও আমরা ছাত্রলীগ করব৷ টাকার বিনিময়ে নেতা বানালে ছাত্রলীগে কালো অধ্যায় সৃষ্টি হবে৷ ’

আল নাহিয়ান খান আরও বলেন, ‘কোনো জায়গায় কমিটি করলে শুনতে হয় যে আমরা নাকি টাকার লেনদেন করেছি৷ আমরা কোনো জায়গায় কোনো টাকার লেনদেন করিনি। এটা আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি৷ ছাত্রলীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করার জন্য একটি পক্ষ দিনরাত লেগে থাকে৷ তিলকে তাল বানিয়ে তারা নামসর্বস্ব পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করায়৷ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লোভ-লালসার মধ্যে থাকে না৷ খালেদা জিয়া ও তাঁর স্বামী জিয়া ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত করেছিলেন। ছাত্রনেতাদের হাতে তাঁরা অস্ত্র ও টাকা-পয়সা তুলে দিয়েছিলেন৷ ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করে না৷’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক৷ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার শহীদদের স্মরণ করার পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিষয় নিয়েও কথা বলেন ছাত্রলীগকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা অন্যতম এই নেতা৷ তিনি বলেন, ‘পাঁচ-সাত-দশ বছর ধরে কমিটি থাকবে না। এভাবে ছাত্রলীগ চলতে পারে না৷ সারা দেশে সংগঠনকে দাঁড় করাতে হবে৷ যাদের সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের সময় দিয়ে দিতে হবে যে, এত তারিখের মধ্যে সম্মেলন করতে হবে, বা সেই তারিখের মধ্যে সেই কমিটি বাতিল হয়ে যাবে এবং সেই জায়গায় সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করতে হবে৷ ঢাকা থেকে ঘোষণা দেবেন না৷ এই কমিটি দিয়ে কোনো কাজ হবে না৷ ’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম সাক্ষী মেজর (অব.) সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী প্রমুখ৷