ছাত্রলীগ নেতা হত্যার বিচার চান সাবেক ছাত্রনেতারা
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা।
আজ রোববার দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ৭ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল। নিহত মহিউদ্দিন সোহেল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মাহমুদ হাসান রিপন ও মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন কমিটির ছাত্রনেতা ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার মহিউদ্দিন সোহেল। হত্যাকারীরা তাঁকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তাঁর নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি এবং মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর জন্মস্থান পাহাড়তলীকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার সংগ্রামের প্রথম কাজ হিসেবে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দিশারি ক্লাবকে গত বছর পুনরায় সংগঠিত করেন। স্থানীয় কয়েকটি মাদকের আখড়া ভেঙে দেন।
মাহমুদ হাসান রিপন অভিযোগ করেন, স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের সওদাগর এবং স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা (সাবেক জামায়াত নেতা) ওসমান খানের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা অনৈতিক ব্যবসার আখড়া ভেঙে দিয়ে এলাকাবাসীর জন্য জানাজার নামাজের মাঠ নির্মাণ করে দেন নিহত মহিউদ্দিন সোহেল। এমন আরও অনেক জনকল্যাণকর উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে স্থানীয় ভূমিদস্যু, মাদক এবং অসামাজিক কার্যকলাপকারী ব্যক্তিদের রোষানলে পড়েন সোহেল।
এ সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বলেন, মূলত মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর মতো ভালো একটি ছেলের এ রকম পরিণতি হবে, তা ভাবতেও অবাক লাগে। মূলত পাহাড়তলী বাজার ও আশপাশের এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতাধীন করার উদ্যোগ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা করার ঘোষণা এবং তাঁর লিজকৃত জমিতে জানাজার মাঠ করার উদ্যোগ নেওয়াই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে সেখানকার প্রভাবশালীদের বিরাগভাজন হয়ে ওঠেন তিনি।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাবেক সহসভাপতি রাশেদুল মাহমুদ রাসেল, হাসানুজ্জামান লিটন, রফিকুল আলম গাফ্ফারী রাসেল, ফজলুল হক, আবু সাইদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান টুটুল, জসিম উদ্দিন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।