ছদ্মবেশে 'একদলীয়' শাসন চলছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না, তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে কেন? তাদের সরাসরি উত্তর কোরিয়া ও চীনের মতো বলা উচিত, “আমি একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমি যা বলব তা-ই আইন।” এটা বললেই তো হয়ে যায়। কিন্তু একটি ছদ্মবেশ ধারণ করে ও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে “একদলীয়” শাসন বসানো হয়েছে।’
আজ শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত কবি আল মাহমুদের মৃত্যুতে শোকসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের বিখ্যাত সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায় ঢাকায় এসেছিলেন একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার জন্য। সেই ভেন্যু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর যেখানে গিয়েছিলেন, সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষে হয়তো কিছুটা ভয় পেয়ে দিয়েছে। আমার প্রশ্নটা এখানেই, যারা এতটুকু ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না, তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে কেন?
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সারা বাংলাদেশ কারাগারে পরিণত হয়েছে। সরকার মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিচ্ছে। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ও সাংবাদিককে তারা কারাগারে পাঠায়। কেউ একটু ভিন্নমত পোষণ করলে তাঁর ওপরে নির্যাতন নেমে আসে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। কিন্তু এই কঠিন সময় সহজ সময় হয়ে আসবে, যদি আমরা সবাই মনে করি আমরা পারব, আমরা করতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই নৈরাজ্য দূর করতে পারব। বুকের ওপরে যে পাথর আছে, সেই পাথরকে সরাতে পারব। আর আমরা জয়ী হব, এই বোধ আনতে হবে।’
প্রয়াত কবি আল মাহমুদের স্মৃতিচারণা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আল মাহমুদককে শহীদ মিনারে সম্মান দেখানো হয়নি। সরকার সম্মান দেখাবে কোথায় থেকে? আমার তো সন্দেহ হয়, তারা কি একুশ ও একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাস করে? করে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতাটাকে সরকার কতটুকু বিশ্বাস করে?’
জাসাসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবুল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, দৈনিক নয়া দিগন্ত–এর সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।