ইসির শক্ত কোনো অবস্থান চোখে পড়েনি
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়মের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এসব অনিয়ম ও সহিংসতা বন্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন পরিচালনার কাজে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি। তিনি ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। দেশের বাইরে আফগানিস্তান, কসোভোতেও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন সাবেক এই কর্মকর্তা। এখন অবসরে থাকা এই নির্বাচন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াদুল করিম।
প্রথম আলো: প্রথম দুই ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শেষ হলো। কেমন দেখলেন নির্বাচন?
জেসমিন টুলি: এবারের নির্বাচনের ইতিবাচক দিক হলো ভোটারসংখ্যা বেড়েছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের ভোট দিতে দেখা গেছে। আর নেতিবাচক দিক হলো—বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। একটা ছোট পৌরসভা, কতই–বা আর ভোটার। সেখানে সহিংসতা হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও এবার ঘটেছে।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়নি। সহিংসতা বেড়ে গেছে। পরিবেশ সুষ্ঠু নয়। নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিবর্তনের কথাও তিনি বলেছেন। কিন্তু এসব থেকে উত্তরণের পথ কমিশনকেই ঠিক করতে হবে। কমিশনের একার পক্ষে হয়তো তা সম্ভব না। রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ—সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা বের করতে হবে। কমিশনকেই এই উদ্যোগ নিতে হবে।
সহিংসতার পাশাপাশি আমরা দেখলাম ঈশ্বরদীতে একজন প্রার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ, নির্বাচন কর্মকর্তারাও সেখানে ছিলেন। ধামরাইয়ে মেয়র পদে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এই ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এসব নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা আসলে কতটুকু? আর তারা ক্ষমতার কতটুকু প্রয়োগ করছে?
জেসমিন টুলি: আইনিভাবে আমাদের নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী। কমিশনের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু প্রয়োগটা হচ্ছে কি না, কতটুকু শিথিলতা আছে, কাদের শিথিলতা এবং কেন—এসব ইসিকেই খুঁজে বের করতে হবে। কোথাও কোথাও মেয়র পদে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। একজন প্রার্থী সবাইকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বলেছেন। কিন্তু আইন বলছে, আমাদের ভোট হবে গোপন ব্যালটে। এগুলো সরাসরি আইনের লঙ্ঘন। এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ ধরনের ঘটনা বাড়বেই।
এবারও নির্বাচনী প্রচারণার সময় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসির হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা আছে। জেল–জরিমানা থেকে প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা পর্যন্ত আছে। পরের ধাপে নির্বাচনের কেউ যদি নিজের দায়িত্ব (প্রার্থী বা নির্বাচন কর্মকর্তা) আইনসংগত ও যথাযথভাবে পালন না করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য—সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এমনকি ইসি যদি মনে করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, তাহলে পুরো নির্বাচনই তারা বন্ধ করতে পারে।
প্রথম দুই ধাপের পৌর নির্বাচনে অনেক জায়গায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। ইসির ক্ষমতা প্রয়োগের অনেক জায়গা ছিল। কতটুকু প্রয়োগ করেছে বলে আপনি মনে করেন?
জেসমিন টুলি: একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এই নির্বাচনে এগুলো-এগুলো হয়নি। যেগুলো ঠিক হয়নি সেগুলো ঠিক করার দায়িত্ব কার? আইন এই দায়িত্ব কাকে দিয়েছে? কমিশনকে। ওনারা নিজেরাই যদি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে না, সহিংসতা বেড়ে গেছে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন দরকার। কোথায় কী পরিবর্তন দরকার, সে রাস্তাটা তাদেরই বের করতে হবে। উত্তরণের রাস্তা বের করতে হবে। প্রতিবার একেকটা নির্বাচন হয়, একেকটা ঝামেলা হয়, অনেক আলোচনা হয়। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে যেসব অসুবিধা হয়েছে, তৃতীয় ধাপে যাতে সেসব না হয়, তার জন্য কমিশনকেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হবে। ইসির দায়িত্ব মানুষকে বলা নির্বাচনে এই অনিয়ম হয়েছে, আর আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি। তাহলেই কেবল অনিয়ম থামবে।
আপনি বিভিন্ন নির্বাচন পরিচালনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতার কতটুকু প্রয়োগ করতে দেখেছেন?
জেসমিন টুলি: আসলে নির্বাচন সুষ্ঠু করার সঙ্গে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) জড়িত। শুধু কমিশন বা রিটার্নিং অফিসারের একার পক্ষে এটা সম্ভব না। কিন্তু প্রথম ভূমিকাটা ইলেকশন কমিশনকেই নিতে হবে। নেতৃত্বটা তাদেরই নিতে হবে। কমিশন যত শক্ত অবস্থানে থাকবে রিটার্নিং কর্মকর্তাও তত শক্ত অবস্থানে থাকবেন। তখন তাঁরা যেকোনোভাবে ভালো নির্বাচন করতে উদ্যোগ নেবেন। প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সেভাবে কাজ করবে। সব পৌরসভায় নির্বাচন খারাপ হয়নি, অনেক ভালো নির্বাচনও হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কেন মানুষের জীবন নেবে? এগুলো যখন সামনে আসছে, প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তখন ভালো কাজ, ভালো নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে।
* আইন স্বাধীনতা দিলেও ব্যক্তি আমি যদি চিন্তায় স্বাধীন না হই তখন আইনি স্বাধীনতা কোনো কাজেই আসে না।
* আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেল-জরিমানা থেকে প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা পর্যন্ত আছে ইসির।
* অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশন যদি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এ ধরনের ঘটনা বাড়বেই।
কোনো ভালো নজির না থাকা বা বিভিন্ন অপরাধ করেও বারবার পার পেয়ে যাওয়ার কারণেই কি এ অবস্থা হচ্ছে?
জেসমিন টুলি: শক্ত কোনো অবস্থান বা ব্যবস্থা কমিশন নিয়েছে, তা আমার চোখে পড়েনি। আমাদের দেশে প্রার্থীরা যেকোনো মূল্যে জিততে চান। জীবনের বিনিময়ে হোক বা যেকোনো মূল্যে হোক। ২০০৬ সালের দিকে ভোটার তালিকা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে, কথা হয়েছে। ভোটার তালিকা নিয়ে এখন আর কথা ওঠে না। নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করার জন্য ব্যালট বা ইভিএম একটা অনুষঙ্গ। নির্বাচনের পরিবেশটা হলো সবচেয়ে বড় কথা। কোনো প্রার্থী যেন এই সাহস না করে যে তিনি আরেক প্রার্থীকে বাধা দেবেন। কোনো প্রার্থী প্রচার চালাতে পারবেন না, এটা কখনো হতে পারে না। সার্বিক পরিবেশটা নির্ভয়ের হতে হবে। যাঁরা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের মধ্যে যদি এই ভয়টা থাকে যে একটু ব্যত্যয় হলে ধরা খাব, কমিশন আমাকে ছাড় দেবে না, তাহলে নির্বাচন ভালো হবে। যেকোনো নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো যদি প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসলে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে থাকে?
জেসমিন টুলি: নিয়ন্ত্রণ বলতে আসলে সাংবিধানিকভাবে সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের কাজে সহায়তা করবে। আইনত এটি করতে বাধ্য। সংবিধানে ‘শ্যাল (shall)’ ব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিলে তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। নিজের কোনো কাজের বাহানা দেখাতে পারবেন না। আইনে বিষয়গুলো খুব পরিষ্কার আছে। পৌরসভা নির্বাচনে কোথায় কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের কথা শুনেছেন আর কোথাও শোনেননি এ রকম কিছু ঘটেছে কি না, তা কমিশনের খতিয়ে দেখা দরকার। প্রার্থী, দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা সবার প্রতি নির্বাচন কমিশন থেকে শক্ত মেসেজ (বার্তা) থাকা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এ ধরনের কিছু আমার চোখে পড়েনি।
আপনি বলেছেন এবারের নির্বাচনের ইতিবাচক দিক হলো ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। এর আগে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার–খরা ছিল। তখন আলোচনা ছিল ভোট ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা চলে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কি এই বার্তা দেয় যে ভোট বা ইসির প্রতি মানুষের আস্থা ফিরছে?
জেসমিন টুলি: এটা দিয়ে আস্থা ফিরছে বা আস্থা নেই, এমন পুরোপুরি বোঝা যায় না। আসলে ভোটের ব্যাপারে আমাদের দেশের মানুষের ব্যাপক উৎসাহ। তীব্র শীতের মধ্যেও দেখবেন অনেক বৃদ্ধ মানুষ ভোট দিতে যান। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে সাধারণত ভোটের হার বেশি হয়। ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের আগ্রহ আছে। তাঁদের শুধু সেই পরিবেশটা দিতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একটা ফারাক আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের ভোটাররা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। প্রার্থীরা দেখা যায় ভোটারদের আত্মীয়–প্রতিবেশী–পরিচিত। এ জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের হার বেশি হয়। এতে ঠিক কমিশনের ওপর আস্থা বাড়ছে বা কমছে, এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয় বলে আমার মনে হয় না।
নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা কীভাবে দেখেন? তারা কি নির্বাচনের সময় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন?
জেসমিন টুলি: নির্বাচন কমিশনের অফিসারদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হলে ভোট ভালো হবে বা খারাপ হবে, বিষয়টা তেমন নয়। ভোটের পরিবেশ কেমন এবং কতটা যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি রিটার্নিং কর্মকর্তা হচ্ছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাদের নিজস্ব ভোটও কাছাকাছি বলে মনে করা হয়। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচন এবং বেশ কিছু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একচেটিয়া ভোট পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। যাঁরা নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের অনেকে বিভিন্ন সময় বলেছেন ভোটের এই অস্বাভাবিক ব্যবধান থেকে ধারণা করা যায় ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না। কী বলবেন?
জেসমিন টুলি: আমি ঠিক ওইভাবে বিষয়টা দেখি না। আমার কাছে মনে হয়েছে বিএনপির প্রচার–প্রচারণা কোনোভাবে দৃশ্যমান হয়নি। বিএনপির যাঁরা প্রার্থী হচ্ছেন, তাঁরা ভোটারদের কাছে যাওয়া, বার্তা দেওয়া, সেটা ঠিক চোখে পড়ছে না। তাঁরা কি নামতে পারছেন না, নাকি নামছেন না—সেটা আমি নিশ্চিত নই। তবে তাঁদের প্রচারণায় কোথাও একটা ঘাটতি আছে।
আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো নির্দলীয় ছিল। এখন মেয়র, চেয়ারম্যান পদগুলোতে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক আলোচনা–সমালোচনা এখনো হচ্ছে। তৃণমূলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের এই সিদ্ধান্ত আপনার দৃষ্টিতে কেমন?
জেসমিন টুলি: স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। কেন এমন হচ্ছে? এটা আমার কাছে মনে হয়েছে যখন একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বা পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে মনোনীত হচ্ছেন, তখন তিনি নিজেকে অনেক বেশি পাওয়ারফুল (ক্ষমতাবান) মনে করেন। তখন অন্য কাউকে এমনকি নিজ দলেরও অন্যদেরও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে চান না তিনি। এ কারণেই নিজ দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর লেগে যাচ্ছে। বিদ্রোহী ও দলের প্রার্থীদের মধ্যে বিরোধ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমার কাছে মনে হয়েছে স্থানীয় নির্বাচনে দলের প্রতীক পাওয়ার কারণে প্রার্থীরা নিজেদের অনেক বেশি ক্ষমতাবান মনে করছেন। এটা একেবারেই আমার ব্যক্তিগত মত।
আইনিভাবে আমাদের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। আপনি দীর্ঘদিন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কাজ করেছেন। আসলে কাজ করার ক্ষেত্রে কমিশন কতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করে?
জেসমিন টুলি: আমার কাছে মনে হয়েছে, আইন স্বাধীনতা দিলেও ব্যক্তি আমি যদি চিন্তায় স্বাধীন না হই তখন আইনি স্বাধীনতা কোনো কাজেই আসে না।
প্রশ্ন :
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
জেসমিন টুলি: আপনাকেও ধন্যবাদ।