ইসি আইন করেও শেষ রক্ষা হবে না: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন কমিশন আইন করেও সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই আইন দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২ সংসদে যখন পাস হচ্ছিল, তখন জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘বাকশাল-গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সেদিনও বাকশাল করেছিল নিজেদের বাঁচানোর আশায়, আজকেও তারা একটা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করল। ভাবছে, তারা বেঁচে যাবে। কিন্তু তারা ভুলে গেল, বাকশাল করেও শেষ রক্ষা হয়নি। নির্বাচন কমিশন আইন করেও তাদের শেষ রক্ষা হবে না।
খুব দ্রুত সময়ে এ আইন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ১৭ জানুয়ারি এ আইন মন্ত্রিসভায় পাস করা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। তারপর এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল সংসদীয় কমিটিকে, তাতে কোনো সংযোজন বা পরিবর্তন থাকলে যেন সংসদে নিয়ে আসে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টাও যায়নি। তারা আজকে হাউসে (সংসদ) নিয়ে এসে সেটাকে পাস করল।
এই আইন পাস করার কোনো এখতিয়ার এ সংসদের নেই বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ নয়। সুতরাং এ আইন আমাদের কাছে নয়, সারা দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
আওয়ামী লীগ বাকশালের ইতিহাসকে চাপা দিতে বানিয়ে বানিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান, সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন প্রমুখ।