‘ইউএনওরা সব করতে পারলে উপজেলা পরিষদের দরকারটা কী’
উপজেলার কোনো কাজে চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেওয়া হয় না, কিন্তু জবাবদিহি করতে হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা বলছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) সব করতে পারলে উপজেলা পরিষদের দরকার নেই।
আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের ঢাকা জেলার শাখার উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা হয়। সারা দেশে জেলা পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা এই সভার আয়োজন করছেন।
সভায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জনগণ কোনো ত্রাণের দরকার হলে ইউএনওদের কাছে যায় না। যায় তাদের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে। কিন্তু চেয়ারম্যানরা সেই ত্রাণ দিতে পারে না।’
নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইউএনওরা যদি সব কাজ করতে পারে, তাহলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দরকারটা কী? বিলুপ্ত করলেই পারে। দায়িত্ব দিয়েছে কিন্তু কাজ নেই। জবাবদিহিও করতে হয়।’
জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কোনো কাজ করতে না পারা লজ্জার বলে জানান নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের কোনো ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু কাগজ-কলমে কাজের কোনো সুযোগ নেই। তিনি এই পরিস্থিতির সমাধান চান এবং আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।
বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যমান যে আইন আছে, তার বাস্তবায়ন চান। তিনি বলেন, নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ক্ষমতায়ন হয়নি। উপজেলা পরিষদ অকার্যকর হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলা পরিষদ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা অবহেলার শিকার হচ্ছেন দাবি করে মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কাজ করতে না পারলে উপজেলা পরিষদ রাখা অপ্রয়োজনীয়।
ইউএনওরা বেশি কর্তৃত্ব দেখান উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে তাঁরা সঠিক আচরণ করছেন না। ইউএনওরা জনগণের টাকায় বেতন পেলেও সেবক না হয়ে প্রভুর মতো আচরণ করেন।
ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েও কোনো কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না।