বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুস ছাত্তারের চারটি নির্বাচনী কার্যালয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে আগুন লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সকালে ওই সব নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কাপড় দিয়ে ঘেরা এই কার্যালয়গুলোর অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে।
এই চার কার্যালয় হলো শহরের শিশুপার্ক মোড়, উত্তর সাহাপাড়ার কলাপট্টি এলাকা, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়সংলগ্ন নয়াপাড়া ও টাউন কলোনি।
শহরের শিশুপার্ক মোড় নির্বাচনী অফিস পরিচালনা করেন পীযূষ বসাক। তিনি বলেন, গতকাল রাত তিনটা পর্যন্ত তাঁরা দলীয় কর্মী নিয়ে বসেছিলেন। এরপর বাড়ি ফিরে যান। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে তাঁদের নির্বাচনী কার্যালয়ে কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
শহরের উত্তর সাহাপাড়ার কলাপট্টি এলাকার এই নির্বাচনী অফিসের সভাপতি যুগল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, তাঁরা নির্বাচনী কার্যালয়ে আড়াইটা পর্যন্ত ছিলেন। এরপর কর্মীরা যে যাঁর মতো বাড়ি চলে যান। তাঁদের অফিসে কারা আগুন দিয়েছে, তাঁরা জানেন না।
নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীনা ক্ষুব্ধ। বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী বলেন, আবদুস সাত্তারের পক্ষে সাধারণ মানুষ নির্বাচনী প্রচারে নামছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন গভীর রাতে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
শেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, ৪ জানুয়ারি রাতে আবদুস সাত্তারের নির্বাচনী প্রচারের মিছিলে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছিল। এ নিয়ে শেরপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ সকালে মেয়র পদপ্রার্থী আবদুস সাত্তার আগুনে পুড়ে যাওয়া কার্যালয়গুলো দেখতে যান। এ সময় শহর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ কুমার বাগচী বলেন, আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া অফিস এলাকাগুলো আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে আবদুস সাত্তারের অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
মেয়র পদপ্রার্থী আবদুস সাত্তার বলেন, আগুন দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের দমিয়ে রাখা যাবে না। যারা তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়গুলোতে আগুন দিয়েছে, তারা কখনো শান্তিপ্রিয় মানুষ হতে পারে না।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।