আজ আমরাও বলছি, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্নাম করতেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নূর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জি এম কাদের এ ধারণা প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় জি এম কাদের প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কেন নূর হোসেন হত্যার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হলো না? ১৯৯১ সালের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে অসংখ্য মামলা হয়েছে, কিন্তু নূর হোসেন হত্যায় মামলা হলো না কেন?’
জি এম কাদের বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে, জাতীয় পার্টির দুর্নাম করতেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নূর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নূর হোসেন হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করার দাবি জানান।
নূর হোসেনের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নূর হোসেন বুকে ও পিঠে যে স্লোগান লিখেছিলেন, আজ আমরাও সেই স্লোগান দিচ্ছি। আজ আমরাও বলছি, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। আমরাও নূর হোসেন হত্যার বিচার চাই।’
জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, সরকার আবারও পরিবহন খাতের সঙ্গে নাটকের মাধ্যমে ধর্মঘট ডেকে সড়ক ও নৌপথের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। ভাড়া যা বাড়িয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, তেলের দাম কমলে তখন তো দেশে তেলের দাম কমানো হয় না। করোনাকালে অনেক কম দামে তেল কিনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করেছে সরকার। এখন ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম কমাতে হবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ ফিরিয়ে দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন, সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার প্রমুখ।