আচরণবিধি ভাঙায় ঝিনাইদহে নৌকার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল খালেকের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিদ্বন্দ্বী একজন প্রার্থীর প্রচারে বাধাদান ও সমর্থকদের আক্রমণ করায় আজ বৃহস্পতিবার তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
ইসি জানায়, মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল খালেকের শোভাযাত্রা থেকে গত ১৮ মে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও তাঁর প্রচারাভিযানে বাধা দেওয়া হয়। আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন। এরপর ২৯ মে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের সামনে সব প্রার্থী আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে মৌখিক অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু এরপরও আবদুল খালেকের সমর্থকেরা ১ জুন কাইয়ুম শাহরিয়ার ও তাঁর সমর্থকদের আক্রমণ করে আহত করেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নির্বাচন কমিশন এ ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দায়ে আবদুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে।
ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। তাতে বলা হয়েছে, আচরণবিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী আবদুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা নির্বাচন) আচরণ বিধিমালার ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে মেয়র বা কাউন্সিলর নির্বাচনের অযোগ্য হতে পারেন এমন কোনো অভিযোগ যেকোনো উৎস থেকে কমিশনের কাছে এলে তা তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে ইসি। তদন্তসাপেক্ষে ইসি তাৎক্ষণিকভাবে ওই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে।