আগের শর্তেই খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এই মুক্তির ক্ষেত্রে আগে যেসব শর্ত ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে আসা এই আবেদনে অনুমোদন দেন। তবে এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য আইনগত সুপারিশ করেছিল। করোনার কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তাঁর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় তাঁর মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।’
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মুক্তির বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দাখিলকৃত আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগের আইনগত মতামতের আলোকে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’ এর ধারা-৪০১(১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে দুটি শর্তে (বাসায় থেকে চিকিৎসা ও বিদেশ না যাওয়া) তার (খালেদা জিয়ার) দণ্ডাদেশ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।’
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ওই দিন প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না। দেশে থেকে বাসায় চিকিৎসা নেবেন। এই শর্তে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য এই মুক্তির মেয়াদ কার্যকর হবে।
এর আগে সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তার আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া এখন গুলশানে তাঁর ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তাঁর সাজার রায় হয়।