আওয়ামী লীগের সরকারে থাকার নৈতিকতা নেই: কাদের সিদ্দিকী
সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযান বিষয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আওয়ামী লীগে এত দুর্নীতিবাজ থাকলে তাদের সরকারে থাকার নৈতিকতা নেই। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে চলমান অভিযান ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সমাজের অন্য শ্রেণিতেও অভিযান চালানোর দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই তাঁরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন। এই সরকার জনগণের সমর্থিত সরকার নয়।
সরকারের অভিযানের বিষয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘এই অভিযান যদি শুধু আইওয়াশ হয়, মানুষকে দেখানোর জন্য হয়, সে রকম অভিযান আমরা সমর্থন করি না। গুটিকয় লোককে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব নয়।’
সার্বিকভাবে যেখানে দুর্নীতি আছে, সেখানে অভিযান চালানোর দাবি জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়াও সমাজের অন্য শ্রেণিতেও দুর্নীতি আছে। শেয়ারবাজারের দুর্নীতি নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শুধু একতরফাভাবে ছেলে ভোলানো পাঁয়তারা করলে চলবে না।
দেশকে বাঁচানোর জন্য একটি জাতীয় সংলাপের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকে এই সংলাপ আহ্বান করতে হবে। এই সংলাপ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সামনে কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘জয় হিন্দ’ বলে স্লোগান দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনে এ ধরনের বাজে লোক বসিয়ে বদনাম করা হচ্ছে।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি হয়েছে অভিযোগ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জানায়, সেই প্রশাসন দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো প্রশ্নবিদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।