ভোট কারচুপির উৎসব হয়েছে, অভিযোগ বিএনএমের

বিএনএম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির উৎসব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নতুন নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। দলটির নেতাদের দাবি, ভোটের দিন সকাল ১০টা থেকেই নির্বাচনী দায়িত্বে থাকাদের সহায়তায় ব্যালট কেটে বাক্স ভরা শুরু হয়। ফলে ভোটারদের অংশগ্রহণ না থাকলেও গণনায় বিশেষ দলের দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ব্যাপকভাবে এগিয়ে ছিলেন।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মো. আবু জাফর ও মহাসচিব মো. শাহজাহান এসব কথা বলেন।

বিএনএমের নেতারা বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আশা নিয়ে বিএনএম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের আগপর্যন্ত অনেক ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কিছু অনিয়ম ছাড়া বড় ধরনের ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হয়নি।

নির্বাচনের দিন সকাল ১০টা-১১টা থেকে দাপট খাটানো শুরু হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করেছেন বিএনএমের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ রাজনৈতিক দলের, যাঁরা আলাদা আলাদা প্রার্থী হিসেবে পরিচিত, তাঁদের যাঁর যেখানে দাপট খাটানোর মতো অবস্থা ছিল, তাঁরা সেখানে দাপট খাটান।

বিএনএম অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তায় ব্যালট কেটে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিশেষ কক্ষে নিজ নিজ বাক্স ভরতে শুরু করে। একপর্যায়ে তা ভোট কারচুপির উৎসবে পরিণত হতে থাকে। ফলে ভোটারদের ভোটদানে তেমন একটা অংশগ্রহণ না থাকলেও গণনায় বিশেষ দলের দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপকভাবে এগিয়ে থাকা ছিল স্বাভাবিক। যার ফলে যা হওয়ার তা–ই হয়েছে, অর্থাৎ কাজির গরু খোঁয়াড়ে না থাকলেও কেতাবে ঠিকই বিদ্যমান ছিল।

প্রশাসন বিশেষ প্রার্থীদের হয়ে ভূমিকা পালন করেছে বলেও বিএনএমের নেতারা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য ভোটের দিন মধ্যাহ্নভোজের পর কারচুপি ঠেকাতে হিমশিম খেয়ে হাল ছেড়ে দেন।

‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দলটির নেতাদের দাবি, নির্বাচনের দিন বিশেষ দলের নেতা-কর্মীদের কারচুপির মাধ্যমে ব্যালট কেটে বাক্স ভরাটের প্রতিযোগিতা এবং সন্ত্রাসী ও মারমুখী আচরণ দেখে বিএনএমের প্রার্থীরা বিস্ময়ে হতভম্ব ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলেন।