ভারতকে ট্রানজিট দিয়ে দেশের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। আজ বুধবার রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়েছবি: সংগৃহীত

ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্যসুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা। ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের।

আজ বুধবার রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত নিজেদের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা এসব কথা বলেন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘সরকার এ দেশের জনগণের টাকা খরচ করে ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্যসুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তাকেই ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। ট্রানজিট যদি দিতেই হয়, সেটা হতে হবে ট্রান্স-এশিয়ান কানেকশনে যুক্ত সব দেশের সঙ্গে একে অপরকে দেওয়ার মাধ্যমে। শুধু নির্দিষ্ট একটা দেশকে ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের বিপক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বলেন, ‘ভারত অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়। কারণ, দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ভারত তা হতে দিতে চায় না। এ জন্যই সার্ককে তারা অকার্যকর করে রেখেছে।’

রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সহসভাপতি সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে ইউরোপের মধ্যে “ফ্রি যাতায়াতের” উদাহরণ দিয়েছেন, সেটা তো কোনোভাবেই ভারত-বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেখানে যাতায়াত হয় সমমর্যাদার দুটি দেশের মধ্যে; সেখানে এক দেশ আরেক দেশকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখে না। এক দেশের বাহিনী সেই কাঁটাতার পেরিয়ে এসে আরেক দেশের নাগরিকদের গুলি করে মারেও না।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলা সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন কবিরাজ, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, দ্বীন ইসলাম, ইয়াকুব হোসেন প্রমুখ।