কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে সরকার নৃশংসভাবে শত শত ছাত্র–জনতাকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, সরকারের বাহিনীগুলো হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ঘরের বারান্দায় অবস্থানরত মানুষকেও খুন করেছে।
বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন দল ও জোটের নেতারা গতকাল বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে ওই অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, নৃশংসতার চিত্র যেন দেশের মানুষ জানতে না পারে, সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করেছে। সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে গণমাধ্যমে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শত শত নাগরিক হত্যার বিচার উপেক্ষা করতে সরকার এখন নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করছে। সরকার ‘গণহত্যাকে’ আড়াল করতে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর খড়্গহস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নেতারা।
গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবি পূরণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গণহত্যা চালানোর পর আন্দোলনকারীদের এখন দুষ্কৃতকারী বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে সরকার।
নেতারা আরও বলেন, অমানবিক সব হত্যাকাণ্ড ঢাকতে সরকার বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গণহারে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। নেতারা বলেন, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে কেউ অতীতে টিকে থাকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ১২–দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইউম, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান।
এ ছাড়া বিবৃতিতে সই করেন গণফোরামের সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।