কোটা আন্দোলনে প্রতিটি হত্যার দায় সরকারকে নিতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলা ও প্রতিটি হত্যার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চে নেতারা, সংঘর্ষে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২২) নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল সোমবার সারা দেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে তারা আজ এ সমাবেশ করে।
সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ‘আবু সাঈদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রতিটি হামলা ও খুনের দায় সরকারকে নিতে হবে। এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের খেলা’ খেলছে।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা বিদ্রূপাত্মক জবাব দিয়েছেন উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের নাটক খেলছে। প্রকারান্তরে ছাত্রদের ‘রাজাকার’ বলায় তাঁরা বিদ্রূপাত্মক জবাব দিয়েছেন।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না) বলেন, রংপুরে পুলিশ গুলি করে মানুষ মেরে ফেলেছে, কিন্তু মিছিল থামাতে পারেনি।
শিক্ষার্থীদের পরোক্ষভাবে ‘রাজাকারের নাতি-নাতনি’ বলে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
রংপুরে শিক্ষার্থী হত্যা ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান সাইফুল হক। তিনি আওয়ামী লীগকে ‘হুকুমের আসামি’ বলেও অভিযুক্ত করেন। সাইফুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার নামে সরকার আওয়ামী লীগের কোটা নির্ধারণ করতে চায়। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারা এই কাজ করতে চায়।
পানির ট্যাংক এলাকায় কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, এরা ছাত্রদের পাকিস্তানি কায়দায় হত্যা করা শুরু করেছে। এদেরকে রুখে দিতে হবে।