২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জাতীয় পার্টির সংকট কাটেনি, ফরম নেননি রওশন

জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদের
প্রথম আলো ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও জাতীয় পার্টির (জাপা) অভ্যন্তরীণ সংকট কাটেনি। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এখন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। ফরম নেননি তাঁর ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদও (সাদ এরশাদ)।

জাপার একটি সূত্র বলছে, রওশন এরশাদ দলীয় কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন না। তিনিসহ তাঁর অনুসারী চার থেকে পাঁচজন নেতার নামে ফরম সংগ্রহ করতে একটি তালিকা আজ শুক্রবার দলীয় কার্যালয়ে পাঠানো হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় আরও এক দিন বৃদ্ধি করেছে জাপা। যদিও পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম বিক্রির চতুর্থ ও শেষ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার।

দলের মহাসচিব মুজিবুল হক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, রওশন এরশাদ অসুস্থ। যদি তিনি নির্বাচন করতে চান, তাহলে অবশ্যই করবেন। তাঁর ছেলেও যদি নির্বাচন করতে চান, করবেন। এটা নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। রওশন এরশাদ নির্বাচন করলে তাঁকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন, ‘উনি আমাদের জন্য বিশেষ ব্যক্তি, তাঁর জন্য যেকোনো সুযোগ আছে। ওনার জন্য যেকোনো ফাঁক থাকলেও সেটা কাজে লাগানো হবে।’

রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। তাঁর ছেলে সাদ এরশাদ রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য। এই আসনে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পক্ষেও মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে। দলটির নেতারা বলছেন, এবার রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন করতে চান তিনি। ঢাকা-১৭ আসনেও তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে। জি এম কাদের এখন লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য।

আরও পড়ুন

দলীয় সূত্র বলছে, জি এম কাদেরের পক্ষে রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন ফরম তোলায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন রওশনপন্থী নেতারা। তাঁরা চান সাদ এরশাদ এবারও এই আসনে নির্বাচন করুন। এই আসনের প্রার্থিতা নিয়ে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে নতুন করে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নেতাদের মধ্যে যাঁরা এখনো দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মসিউর রহমান (রাঙ্গা)। তিনি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ও দলের সাবেক মহাসচিব। দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের মনোনয়নের বিষয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, ‘যাঁরা বহিষ্কৃত, তাঁদের মনোনয়ন ফরম দেওয়ার সুযোগ নেই। বহিষ্কৃত কেউ চেয়ারম্যান বরাবর আপিল করলেই ফরম দেওয়ার সুযোগ হতে পারে।’ তবে বহিষ্কৃত নেতাদের কেউ কেউ যোগাযোগ করছেন বলে তিনি জানান।

গত চার দিনে মোট ১ হাজার ৭৩৭টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান দলের চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী। তিনি জানান, গতকাল চতুর্থ দিনে ২২৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। আজ শেষ দিনে মনোনয়ন ফরম বিক্রির পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারও নেওয়া শুরু হবে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আসনগুলোতে যাঁরা মনোনয়নপ্রত্যাশী, তাঁদের সাক্ষাৎকার আজ নেওয়া হবে।