কুমিল্লায় বিএনপির নেতা বরকতউল্লার ওপর হামলা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লার (বুলু) ওপর হামলা হয়েছে। এতে বরকতউল্লা, তাঁর স্ত্রী শামীমা বরকত (লাকী), বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মহিউদ্দিন, শরিফ হোসেন আহত হন। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার বাজারের একটি চায়ের দোকানে ওই অতর্কিত হামলা হয়। বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া প্রথম আলোকে বিষয়টি জানান।
হামলায় মাথায় আঘাত পান বরকতউল্লা। তাঁর ক্ষতস্থান থেকে রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর স্ত্রী শামীমা হাতে ব্যথা পান।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব সারওয়ার জাহান ভূঁইয়া (দোলন) বলেন, বিকেলে নোয়াখালীর নিজ এলাকা বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন বরকতউল্লা। ফেরার পথে বিপুলাসার বাজারে তাঁকে বহন করা গাড়ির চাকা পাংচার হয়। পরে বিপুলাসার বাজারে বিপুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফ হোসেনসহ মহাসড়কের পাশে একটি দোকানে চা পান করছিলেন। এই সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে তাঁর শরীরে জখম হয়। বরকতের স্ত্রী ও যুবদলের এক নেতা আহত হন। পরে তাঁকে সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে কুমিল্লায় আনা হয়।
রাত আটটায় কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাগোয়া কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর মিয়ামি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন বরকতউল্লা। তিনি সেখানে তাঁর ওপর হামলার বর্ণনা দেন। তিনি অতর্কিতভাবে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই তাঁর ওপর লাঠিসোঁটা, রড নিয়ে হামলা করে তাঁকে রক্তাক্ত করেন। তাঁর মাথায় তিনটি আঘাত করা হয়। তাঁকে মেরে ফেলার জন্য হামলা করা হয়। তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলা করেন। দলীয় নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। ৮ থেকে ১০ জন এই হামলা করে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমি তিন দিন ধরে ঢাকায় আছি। কারা হামলা করেছে, তা বলতে পারব না।’
মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাওহার ইকবাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছি। মোটরসাইকেলে করে এসে দুই থেকে তিনজন লোক অতর্কিত হামলা করে চলে যান। এখন অভিযোগ করলে পুলিশ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।’