তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তথ্যানুসন্ধানী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’। ঢাকা, ১৫ জুলাই
ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তথ্যানুসন্ধানী প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’।

এ প্রসঙ্গে দলটি বাংলাদেশের বিগত ১১টি সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেছে, নির্দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত ৪টি নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বাকি ৭টি নির্বাচন ছিল কলঙ্কিত ও প্রহসনমূলক, যা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে জাতি আবারও দেখেছে।

আজ শনিবার বিকেলে গুলশানে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে এবি পার্টি এই মতামত দিয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সমন্বয়ক তাজুল ইসলাম। গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে তাজুল ইসলাম ছাড়াও দলের যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, জ্যেষ্ঠ সহকারী সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম এবং সহকারী সদস্যসচিব নাসরীন সুলতানা অংশ নেন।

ইইউ প্রতিনিধিদলকে এবি পার্টির নেতারা বলেছেন, নির্বাচনী কাঠামো পরিবর্তন না হলে জনরায় প্রতিফলিত হওয়ার মতো সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কখনোই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আর কাঠামো পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত না হলে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুফল দেশবাসী পাবে না। বরং তা একটি অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারকে অন্যায্য বৈধতা দেওয়ার আয়োজন হিসেবে দেশবাসীর কাছে বিবেচিত হবে।

এবি পার্টির সূত্র জানিয়েছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দলকে একটি লিখিত দিয়েছে। সেখানে দলটি বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ইতিহাস তুলে ধরেছে। এবি পার্টি বলেছে, গণভোটের আয়োজন না করে ৩০ জুন ২০১১ সালে তাড়াহুড়া করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেয় সরকার। সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত মতামতকেও উপেক্ষা করে তারা দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের প্রধান কারণ।