ঔষধ শিল্প সমিতির নেতাদের মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ

ঢাকার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঔষধ শিল্প সমিতির একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গেছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। ওষুধশিল্পে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে আজ বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হয়। তারা প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলে।

সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের ওপর আমাদের অনেক বড় নির্ভরশীলতা। ওষুধশিল্প নিয়ে আমরা গর্ব করি। অনেক উন্নয়নশীল দেশের ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের চাহিদার ৯৮ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হয়। মাত্র ২ শতাংশ আমাদের আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে ওষুধশিল্পের অবদান ভবিষ্যতে আরও বাড়তে থাকবে এবং কর্মস্থান সৃষ্টিসহ সার্বিক অর্থনীতি ও জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, ‘ইদানীং কিছু কিছু শিল্পে, বিশেষ করে ওষুধশিল্পের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যেটার সমাধানও হয়ে গেছে। আমরা আশা করব, ভবিষ্যতে মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের অস্থিরতা, ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, যদি কোনো চাহিদা থাকে, সেটা মালিক-শ্রমিকদের সমঝোতার মধ্যে আমাদের সমাধান করতে হবে। যে কোনো শিল্পে যদি কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তাহলে এর একটা ভুল বার্তা জনগণের কাছে যায়।’

বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা সংকটের মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, এই সংকট থেকে উত্তরণ করতে হলে প্রতিটি শিল্প, বিশেষ করে বিকাশমান ওষুধশিল্পে সবাইকে সমর্থন দিতে হবে। শ্রমিকেরা ওষুধশিল্পে বড় অবদান রেখেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শ্রমিক-মালিকের সমন্বয়ে ওষুধশিল্প ভবিষ্যতে শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান, সহসভাপতি মো. হারুনুর রশীদ, এম মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ হেলালুজ্জামান, সমিতির সিইও মো. মুস্তাফিজুর রহমান।

বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।