ত্রুটিমুক্ত না করে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হতাশাব্যঞ্জক: ওয়ার্কার্স পার্টি

দেশের অনেক রাজনৈতিক দলের সংশয় ও ইভিএমকে ত্রুটিমুক্ত করার প্রস্তাবকে আমলে না নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হতাশাব্যঞ্জক। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন হুদা কমিশনের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল। এর জন্য সংলাপের প্রয়োজন ছিল না।

ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের গতকাল মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে। তবে ইভিএম নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করতে ইভিএমে ভোটার ভেরিয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল (ভিত্তিপ্যাড) সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যাতে ভোটার তাঁর ভোট ঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেন। এ ছাড়া হাতের ছাপ না মেলার কারণে প্রিসাইডিং অফিসারদের হাতে কোনো ভোট সংরক্ষিত না রাখার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এসব দাবি না মেনে; বরং ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম মেশিনই কেনার কথা বলা হয়েছে। কাজে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে কোনো যুক্তি ভোটারদের বিশ্বাসযোগ্য হবে না। একই সঙ্গে নির্বাচন ও ভোট নিয়ে চলমান বিতর্ক অব্যাহত থাকবে।

ইভিএম সম্পর্কে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করতে ওই সব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিলেই কেবল ইভিএম নিয়ে বিতর্ক নিরসন করা সম্ভব হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

গতকাল নির্বাচন ভবনে কমিশনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার কথা জানানো হয়। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত জুলাই মাসে ইসি যে সংলাপ করেছিল, তাতে ২২টি দল ইভিএম নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছিল। সংলাপে জাতীয় পার্টিসহ ১৪টি দল ইভিএম নিয়ে তাদের সংশয় ও সন্দেহের কথা স্পষ্টভাবেই বলেছে।

এর মধ্যে নয়টি দল সরাসরি ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে মত দিয়েছে। আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে। আর কয়েকটি দল শর্ত সাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে বলেছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ নয়টি দল ইসির সংলাপ বর্জন করে, তারাও ইভিএমের বিপক্ষে।