২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ফয়জুল করিমকে কোন কৌশল থেকে প্রার্থী করল ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম
ছবি: ইসলামী আন্দোলনের সৌজন্যে

অবশেষে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রয়াত চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিমের ছেলে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চরমোনাই আলিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করেন।

গত কয়েক দিন ধরে ফয়জুল করিমের প্রার্থিতা নিয়ে বরিশালে আলোচনা হচ্ছিল। তবে ইসলামী আন্দোলনের একাধিক কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বরিশাল সিটিতে দলের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল খায়েরকে মেয়র পদে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত দল আগে নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হলো তাঁর বড় ভাই ফয়জুল করিমকে।

আবুল খায়ের দলের আমির রেজাউল করিম ও নায়েবে আমির ফজলুল করিমদের ছোট ভাই। তিনি চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। হঠাৎ কী কারণে বা কোন কৌশল থেকে আবুল খায়েরের পরিবর্তে দলের নায়েবে আমির ফয়জুল করিমকে প্রার্থী করা হলো, তা নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে নানা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ চলছে।

ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামগ্রিক অবস্থার আলোকে এবং রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওনাকে (ফয়জুল করিম) অধিকতর যোগ্য মনে করা হয়েছে। সে জন্য প্রার্থী করা হয়েছে। তা ছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও তাঁকে চাওয়া হয়েছে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরিশালে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে বাদ দিয়ে তাঁর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে প্রার্থী করেছে। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখন পর্যন্ত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামি দলও নির্বাচনী মাঠে নেই। ফলে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন। এমনটি হলে এর ধারাবাহিকতা আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত গড়াবে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে।

এ ছাড়া সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন। এর মধ্যে গাজীপুরে দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, খুলনায় কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল, রাজশাহীতে মহানগর কমিটির সহসভাপতি মুরশিদ আলম ফারুকী ও সিলেটে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসানকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয়, সরকারের কোনোরকম হস্তক্ষেপ ছাড়া নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে। ইসলামী আন্দোলন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যদি নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দেয়, তবে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ হবে।