জাতীয় সংসদের স্পিকার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন নিজেরাই এসেছিলেন। বাকি দুজনের একজন অসুস্থ আরেকজন বিদেশে। আজ রোববার বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর স্পিকার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পদত্যাগপত্র সশরীরে জমা দিতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে হারুনুর রশীদ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ই–মেইলে, সই স্ক্যান করে বসানো। এটা গ্রহণ করা হবে না, তাঁকে আবার পদত্যাগপত্র দিতে হবেশিরীন শারমিন চৌধুরী
স্পিকারের কাছে সশরীর পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের জি এম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ বিদেশে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সশরীর পদত্যাগপত্র দেননি। এ সংসদের মেয়াদ এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে।
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, পদত্যাগপত্র সশরীরে এসে জমা দিতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যে পাঁচজন পদত্যাগপত্র নিয়ে এসেছেন তাঁদের আসন শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুটি আবেদনের সই যাচাই করা হবে এবং তাঁরাই পদত্যাগপত্র পাটিয়েছেন কি না, সংসদ সচিবালয় তা খোঁজ নেবে। তবে হারুনুর রশীদ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ই–মেইলে, তাঁর সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। এটা গ্রহণ করা হবে না, তাঁকে আবার পদত্যাগপত্র দিতে হবে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করে। সেখানে বিএনপি ১০ দফা দাবি তুলে ধরে। তার মধ্যে ছিল জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। ওই গণসমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। এরপরই আজ সকালে সশরীর স্পিকারের কাছে গিয়ে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য।
একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৩৫০টি আসনের মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য রয়েছেন সাতজন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয়জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দলটির সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত মির্জা ফখরুল ছাড়া বাকি পাঁচজন তখন শপথ নেন। নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সেখানে নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজ।