নেতা–কর্মীদের লাঠি নিয়ে কর্মসূচিতে আসতে বললেন গয়েশ্বর
নিজেদের আত্মরক্ষা এবং আক্রমণ প্রতিহত করতে সামনের কর্মসূচিগুলোতে মোটা লাঠি নিয়ে আসতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বুধবার ঢাকার মিরপুর–৬ নম্বরে দলীয় সমাবেশে এ নির্দেশনা দেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মিরপুর জোনের আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজ ছোট ছোট লাঠি নিয়ে এসেছেন। এরপরে আরও মোটা মোটা বাঁশের লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামবেন। আত্মরক্ষায় প্রত্যেকের হাতে লাঠি থাকবে। তবে আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করা হবে, ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবারে মিরপুরের পল্লবীতে বিএনপির সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধা ও সংঘর্ষে। তবে বুধবার কোনো বাধা ছাড়াই সমাবেশ করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সমাবেশে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেন। মিছিলে থাকা বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর হাতে বাঁশ, কাঠের লাঠি, লোহা ও প্লাস্টিকের পাইপ ছিল। এসব লাঠি ও পাইপের মাথায় বাঁধা ছিল জাতীয় পতাকা।
পুলিশের পল্লবী অঞ্চলের জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। শর্ত ছিল, কোনো লাঠিসোঁটা আনা যাবে না। কিন্তু তারা সেই শর্ত মানেনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, বনানীতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতেও সরকারি দল হামলা করেছে। ক্ষমতায় যেতে নয়, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পেতেই বিএনপি আন্দোলন করছে বলেও তিনি জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ, সদস্যসচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দলের তিন কর্মী হত্যার প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি রাজধানীতে টানা সমাবেশ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার বিএনপি এই সমাবেশ করে।