রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধাবিপত্তি  উদ্বেগ বাড়াচ্ছে 

আ ন ম মুনীরুজ্জামান

রাজনীতিতে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখছি। দুই পক্ষের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। একধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। 

প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে যেহেতু স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেওয়া হচ্ছে না, সে কারণে পরিস্থিতি অস্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। 

শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এমন পটভূমিতে আজকের কর্মসূচি নিয়েও মানুষের মধ্যে উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে বাধাবিপত্তি না থাকলে বড় কোনো কর্মসূচি হলেও উদ্বেগের সৃষ্টি হতো না। কিন্তু এখন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ যেমন বাড়ছে, একই সঙ্গে নানা শঙ্কাও কাজ করছে।

যদিও উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা কমাতে সরকার ও বিরোধী—দুই পক্ষেরই দায়িত্ব আছে। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব এখানে অনেক বেশি। আমরা সবাই আশা করি, সরকার বাধা দেওয়ার জায়গা থেকে সরে আসবে। এতে অস্থিরতা অনেক কমে আসবে।

তবে রাজনীতিতে দুটি পক্ষের মধ্যে দূরত্ব যেভাবে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব পক্ষের এই পরিস্থিতি উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

যতক্ষণ কোনো আলোচনা বা সংলাপ না হবে, দুই পক্ষের দূরত্ব বাড়তেই থাকবে। তখন পরিস্থিতি সামলানোর বা সমস্যা সমাধানের সুযোগ কমে যাবে। 

আসলে আলোচনা বা সংলাপের বিকল্প নেই। আলোচনার মাধ্যমেই  সমাধান দেখতে হবে। আলোচনা হতেই হবে। 

 সংলাপের প্রশ্নেও দুই পক্ষের দায়িত্ব আছে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রধান দায়িত্ব সরকারের। রাজনীতি নিয়ে মানুষের উদ্বেগ ও শঙ্কা দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকেই মূল ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।

রাজনীতিকেরা নমনীয় মনোভাব না দেখালে সংকট ঘনীভূত হবে, বৃদ্ধি পাবে সংঘাতের আশঙ্কা।

মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ।