বিএনপি-জামায়াতের উসকানিতে সহিংসতা করেছে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির: ওবায়দুল কাদের

তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরছবি: খালেদ সরকার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করতে চায়। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের ষড়যন্ত্র ও উসকানির মাধ্যমে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির সহিংসতা করে সারা দেশে, বিশেষ করে ঢাকায় পরিস্থিতি ঘোলা করে। এর মধ্যে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল।

আজ বুধবার সকালে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ ও চট্টগ্রামে সন্দীপনকে হত্যা করা হয়েছে।

শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা ছয়তলার ছাদ থেকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।

এর মধ্যে একজনের প্রাণহানিসহ বেশির ভাগই গুরুতর আহত হয়েছে। সবার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

কোটা নিয়ে আন্দোলন এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির একে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে চাইছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দাবির প্রতি শেখ হাসিনা সরকার সহনশীল। তরুণ প্রজন্ম সংঘর্ষে লিপ্ত হবে, এটা কাম্য নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আঘাত করলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলে, জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে সরকারকে সেখানে কঠোর হতেই হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের জিম্মি করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগের ওপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশ্বাসী। এই বর্বর আক্রমণে গণমাধ্যমের অনেক কর্মীও আহত হয়েছেন। কিন্তু মিডিয়ার হেডিং (শিরোনাম) দেখলে মনে হয়, সব আক্রমণে আক্রমণকারী ছাত্রলীগ।’

আক্রমণকারীদের ছাত্রশিবির বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেশি আক্রান্ত হয়েছে ছাত্রলীগ।

হলে হলে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের বইপুস্তক, জামাকাপড় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো এই অবস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে শহীদ মিনার এলাকায় পেটানো হয়েছে।

এটা বর্বর আচরণ। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে শেখ হাসিনা ছাড় দেননি।

অপরাধ করলে দলের লোককেও শাস্তি দেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।