বন্যার জন্য ভারতের বাঁধকে দায়ী করলেন জোনায়েদ সাকি
বাংলাদেশে বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিন্ন নদীর উজানে ভারতের বাঁধ দেওয়াকে দায়ী করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ভারতের বাঁধের কারণে নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। তাতে বর্ষা মৌসুমে নদীগুলো পানি ধারণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।
আজ সোমবার কুমিল্লায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। কুমিল্লার পদুয়ার বাজার, বারোপারা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, যাত্রাপুর ও ইসলামপুর গ্রামে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে গণসংহতি আন্দোলন।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ভারতের কাছ থেকে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়। দেশের ভেতরে নদী ও খাল খনন। নদী দখল প্রতিরোধে দীর্ঘ মেয়াদে রাজনৈতিক সংগ্রাম করা না গেলে এই বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। এ জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হবে।
ত্রাণতৎপরতা আরও জোরদার করা দরকার বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সবার কাছে যাতে সহায়তা পৌঁছায়, সমন্বয়ের মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করা জরুরি। পরে সরকার, রাজনৈতিক দল ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাতে হবে। যাতে বন্যার ক্ষয়ক্ষতিকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, কুমিল্লা জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মজুমদার, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমীন রহমান প্রমুখ।
এ ছাড়া আজ নোয়াখালীর সোনাপুর ইউনিয়নের অশ্বদীয়া গ্রামের অশ্বদীয়া গার্লস স্কুলের আশ্রয় স্থান ও আশপাশের এলাকায়ও ত্রাণ বিতরণ করে গণসংহতি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, আশুলিয়া থানা আহ্বায়ক এফ এম নুরুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন ফরাজী।