রুহুল কবির রিজভীসহ শতাধিক আটক
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে রিজভীকে নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। রিজভী ছাড়াও বিএনপির শতাধিক নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়।
আজ বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। বিকেল সোয়া চারটার দিকে পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। তখন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ।
আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান শুরু হলে বেলা সাড়ে চারটার দিকে মির্জা ফখরুল সেখানে আসেন। এ সময় কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। মির্জা ফখরুলকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি কার্যালয়ের সামনে বসে পড়েন। পুলিশের এই অভিযানের এক পর্যায়ে রুহুল কবির রিজভীকে আটক করা হয়।
কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও শতাধিক নেতা–কর্মীকে পুলিশ আটক করে নিতে দেখা গেছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে ঢাকার বিভাগীয় মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সরকার চায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ হোক। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির কথাবার্তা চলছিল। এরই মধ্যে আজকের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটল।
আজ নেতা–কর্মীদের আটকের পর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ১০ তারিখের সমাবেশের প্রচারের কাজে থাকা দুটি ট্রাক র্যাকার দিয়ে টেনে নিয়ে যায় পুলিশ।