সংস্কার কমিশনগুলো রোববার থেকে কাজ শুরু করতে পারে

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

ছয় সংস্কার কমিশনের পাঁচটির প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নির্ধারিত সময়ে তারা কাজ শুরু করতে পারেনি। আগামীকাল রোববার থেকে কাজ শুরু করতে পারে বলে জানা গেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন হয়নি। ছয়টি কমিশনই ১ অক্টোবর কাজ শুরু করবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

এদিকে কমিশনগুলোর জন্য এখনো কার্যালয়ও সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। তবে কোনো কোনো কমিশনের প্রধানেরা বলছেন, যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনগুলোকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, সে জন্য তাঁরা সময় ক্ষেপণ না করে রোববার থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু করতে চান।

নির্বাচনব্যবস্থা-সম্পর্কিত সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এই কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠিত হওয়ায় তিনি পুরোদমে কাজ শুরু করবেন।

অন্য কমিশনগুলোও কাল থেকে কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুর্নীতি দমনবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান জানিয়েছেন, সদস্যদের নামসহ কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় গত বৃহস্পতিবার। এর পর থেকে তিনি কাজ শুরু করার জন্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, কথাবার্তা বলছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া বাকি পাঁচটি কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দু-এক দিনের মধ্যেই সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যদের নামসহ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে।

ছয় কমিশনেই একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি থাকবেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নাম যুক্ত করা হয়নি।