ইসির নিবন্ধন পেল হুদার ‘তৃণমূল বিএনপি’
বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটি প্রতীক হিসেবে পাচ্ছে ‘সোনালি আঁশ’। আজ বৃহস্পতিবার ইসির সচিব জাহাংগীর আলমের সই করা এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল বিএনপিকে যত দ্রুত সম্ভব নিবন্ধন দেওয়া হবে।
২০০৮ সাল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে নির্বাচন কমিশন নবম সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করে। সর্বশেষ ৪৪টি দল নিবন্ধন পায়। এর মধ্যে ৫টি দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছে ৩৯টি দল। তৃণমূল বিএনপি নিবন্ধন পাওয়ায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০–এ। অন্যদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জুনের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা ঘোষণা দিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।
১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে দুই দফায় খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন নাজমুল হুদা। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন হুদা। পরে সেই দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালে ঢাকা–১৭ আসন (গুলশান–বনানী–সেনানিবাস এলাকা) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। এরপর ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে আবার দল গঠন করেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সময় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল তৃণমূল বিএনপি। তখন নিবন্ধন মেলেনি। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন নাজমুল হুদা। আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দলটিকে নিবন্ধন দিল ইসি।
নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে হলে একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মহানগর থানায় প্রতিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনসংবলিত দলিল থাকার শর্ত পূরণ করতে হবে।