ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ, বিক্ষোভ
ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ‘পদবঞ্চিত’ নেতা-কর্মীরা। এ সময় পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। আগামীকাল আবারও বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
নিজেদের পদবঞ্চিত দাবি করে ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী আজ বুধবার সন্ধ্যায় ওই বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের আগে দুপুরে নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পিয়াল হাসানকে আহ্বায়ক ও মো. মিল্লাদ হোসেনকে সদস্যসচিব করে ঢাকা কলেজ শাখার ২৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কমিটি ঘোষণার পর মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঢাকা কলেজ ও সংলগ্ন এলাকায় অন্তত সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে ঢাকা কলেজ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যেই দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক (মিরপুর সড়ক) অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিতরা। নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সেখানে ‘অবৈধ কমিটি, মানি না মানব না’, ‘ছাত্রলীগের কমিটি, মানি না মানব না’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেওয়া হয়।
দুপুরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘একটি খারাপ চক্রকে নিয়ে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি করা হয়েছে। ২৬ সদস্যের কমিটিতে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীও রয়েছে। অথচ আমরা যারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম, শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম, তারা পদবঞ্চিত। তাই আমরা এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।’
পরে সন্ধ্যায় আবারও মিরপুর সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা। এতে ওই সড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ওই এলাকায় পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। আধা ঘণ্টা ধরে এই বিক্ষোভ চলে।
সন্ধ্যায় মিরপুর সড়ক ছাড়ার আগে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আবারও মিরপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দেন।
ঢাকা কলেজের কমিটি নিয়ে অসন্তোষের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁরা জানতে পেরেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।