এটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষুদ্র চিত্র: ওয়ার্কার্স পার্টি
পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সাবেক দুই প্রধানের দুর্নীতি অনিয়ম ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ধনিক গোষ্ঠীর এক ক্ষুদ্রাংশ ও সামরিক-বেসামরিক আমলারা যে লুট, সম্পদবৃদ্ধি ও অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন, এসব তারই ক্ষুদ্র চিত্রমাত্র।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই বক্তব্য দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে এই দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ‘বিশেষ কমিশন’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিষয়গুলো কেবল দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর ছেড়ে দেওয়াই যথেষ্ট হবে না। কারণ, সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিষয়ে সংবাদপত্রে শীর্ষ সংবাদ হওয়ার পরও দুর্নীতি দমন কমিশন নিজ উদ্যোগে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়েছে। তারপরও দুর্নীতি দমন কমিশনের ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে যে শিথিলতা প্রদর্শিত হয়েছে, সে সুযোগে বেনজীর ব্যাংকে গচ্ছিত দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের মূলটাই তুলে নিয়ে গেছেন। তিনি নিজেও সপরিবার দেশত্যাগ করেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাবেক সেনাপ্রধানের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাঁর ভাইদের নাম, বাবার নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও পরিপূর্ণ নিশ্চুপ ও নির্বিকার। এ অবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি, অর্থ ও সম্পদ লুটপাট, অর্থ পাচার রোধ করতে সরকারকেই দায় নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শীর্ষ পর্যায়ে এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেই কেবল দেশের জনগণ কিছু হলেও আশ্বস্ত হবে এবং রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে যে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে, তাকে রোধ করা যাবে বলে ওয়ার্কাস পার্টি মনে করে।