সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে: ইনু

কর্নেল আবু তাহেরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন হাসানুল হক ইনু
ছবি: সংগৃহীত

সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভাটি হয়।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গীদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের রাজনীতি মোকাবিলা করে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

‘কর্নেল তাহের একজন মহান দেশপ্রেমিক বিপ্লবী, মহানায়ক আর জিয়া একজন বিশ্বাসঘাতক খলনায়ক’ উল্লেখ করে হাসানুল হক দাবি করেন, জিয়া (জিয়াউর রহমান) তাঁর প্রাণ রক্ষাকারী কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি সাজানো মিথ্যা মামলায় প্রহসনমূলক বিচারে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে হত্যা করেছেন। জাসদ নেতাদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, সমাজ বদলের সংগ্রামে শহীদ কর্নেল তাহের চিরদিন প্রেরণার উৎস হিসেবে থাকবেন।

আরও পড়ুন

এ আলোচনা সভায় জাসদের কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, সহসভাপতি নুরুল আখতার, ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, নইমুল হক চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। আলোচনা সভার আগে জাসদের নেতা-কর্মীরা একই মিলনায়তনে কর্নেল তাহের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দিবসটি উপলক্ষে জাসদের দলীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে দলের পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। কর্নেল তাহেরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বেলা ১১টায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় কাজলা গ্রামে কর্নেল তাহেরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের আমলে সামরিক ট্রাইব্যুনালে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে কর্নেল আবু তাহের ও তাঁর সঙ্গীদের গোপন বিচার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে ২০১১ সালের ২২ মার্চ হাইকোর্ট রায় দেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আবু তাহের পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে এসে দেরাদুনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণশিবিরে যোগ দেন। এরপর তিনি টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধে তিনি এক পা হারান।