যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় কর্মসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে’ দেশের মহানগর ও জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। এই দিনটিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী, গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান খন্দকার মোশাররফ।
বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা এবং বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিতে বেলা আড়াইটা থেকে নয়াপল্টনে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ শেষে ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দুই পাশের সড়কে মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রশাসন ও সরকার যৌথভাবে লুটপাট, দুর্নীতি করছে। জনগণ এ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, রুখে দাঁড়াবে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিনা ভোটের এমন সরকার জনগণের ওপর চেপেছে, যারা তাদের শাসনামলে প্রতিবছর বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এখন প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে তাদের চুরির সঙ্গে। শ্রমিক, কৃষক, নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সর্বনিচে নেমেছে। দুই বেলা খাওয়ার জোগাড় হচ্ছে না বিশাল অংশের মানুষের। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ দাম, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ট্যাক্সের মাধ্যমে পকেট খালি করা হচ্ছে। এই টাকা ভোটচোরদের পকেটে যাচ্ছে। ভোটচোরেরা দেশের অর্থনীতি চুরি করে ফেলেছে। দেশের অর্থনীতি ভোটচোরদের হাতে ন্যস্ত।
এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশের ১ শতাংশের কম মানুষের কাছে লাখ লাখ কোটি টাকা যাচ্ছে। এ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। ১০ লাখ কোটি টাকা তারা পাচার করেছে। তাদের চুরির জন্য মানুষকে বিদ্যুতের বেশি দাম দিতে হচ্ছে।
লুটপাট আগামী দিনে চলতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।