২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দুর্ঘটনা ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়: জি এম কাদের

জিএম কাদের
ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দুর্ঘটনা ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়। সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার পর মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে জি এম কাদের বলেন, সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী পক্ষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, যদি নাশকতা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার নাশকতা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নাশকতা ঠেকাতে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

আজ বৃহস্পতিবার এক সভায় রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় মহিলা পার্টি।

জি এম কাদের বলেন, যখন হাসপাতালের বেডে দগ্ধ মানুষ অসহনীয় কষ্টে কাতরাচ্ছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে না পারলে রাষ্ট্র শোক প্রকাশ করতে পারে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানানো যেত। এখন ব্যর্থতা ঘোচাতে অপরকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

এখন সবকিছুতেই গলদ বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ভবন তৈরিতে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না। গ্যাসের লাইন বৈধ না অবৈধ, তার ঠিক নেই। এগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে যারা, তাদের খোঁজ নেই। এত বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে, কিন্তু কারণ উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর হতে পারে না।

ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যাদের ব্যর্থতা, অবহেলা, দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতির কারণে এমন ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তা থেকে শিক্ষা নিতে হয়, যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট কেউ জানে না। তদন্ত কমিটি কী সুপারিশ করল, কেউ জানে না। কে দায়ী বা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা কেউ জানতে পারে না।

জি এম কাদের বলেন, দেশের ক্ষমতা এখন একটি গোষ্ঠী বা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষের হাত থেকে ক্রমে ক্রমে ক্ষমতা দূরে সরে যাচ্ছে। তাই দেশের মানুষ অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে। ক্ষমতার বৈষম্য কমছে না; বরং দিন দিন বাড়ছে। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে হলে আগে ক্ষমতার বৈষম্য দূর করতে হবে।

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন, জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক সালমা ইসলাম, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদের প্রমুখ বক্তব্য দেন।