কোটা আন্দোলন থেকে উসকানিমূলক স্লোগানের নিন্দা সাবেক ছাত্রনেতাদের

কোটা আন্দোলন থেকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উসকানিমূলক স্লোগানের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়েছেন ৪২৩ সাবেক ছাত্রনেতা।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের প্রায় সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতা ছিলেন।

বিবৃতিতে সাবেক এই ছাত্রনেতারা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বস্ত ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই যাঁরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বক্তব্যকে সঠিকভাবে অনুধাবন না করে বিকৃতভাবে প্রচার করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং শিক্ষাঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির প্রতিটি অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা ছাত্রসমাজের রক্তস্নাত ভূমিকা বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাস। কিন্তু আমরা গভীর হতাশার সঙ্গে লক্ষ করেছি, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে হঠাৎ মধ্যরাতে ’৭১-এর পরাজিত অপশক্তি ও তাদের উত্তরাধিকারীদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে কতিপয় পথভ্রষ্ট শিক্ষার্থী “তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার” স্লোগান দেয়। এই ন্যক্কারজনক স্লোগান সব দেশপ্রেমিক নাগরিকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রবলভাবে আঘাত করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, ঠিক তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে গভীর রাতে এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ উচ্চারণ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পবিত্র সংবিধান এবং লাল-সবুজের পতাকা ও মানচিত্রকে অস্বীকার করার পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘আমরা দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারণ করতে চাই—“বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই”; ‘শেখ হাসিনার বাংলায় ষড়যন্ত্রকারীদের ঠাঁই নাই’। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, অটল, অবিচল।’

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন শাহে আলম, অসীম কুমার উকিল, মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, ইকবালুর রহিম, মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, আমিনুল ইসলাম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ইসহাক আলী খান, বাহাদুর ব্যাপারী, অজয় কর খোকন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মারুফা আক্তার পপি, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, আবু আব্বাস ভূঁইয়া, সায়েম খান, নুরুল আলম পাঠান, নাসিম আল মোমিন রূপক, রেজওয়ানুল হক চৌধুরী প্রমুখ।