জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে তাঁদের এ বৈঠক হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই সরকার অন্য সরকারের মতো নয়। এই সরকার বহু ছাত্র-জনতার রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। যারা জীবন দিয়েছে এবং আহত হয়েছে, তাদের প্রতি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমি এই গুরুদায়িত্ব নিয়েছি।’
উপদেষ্টা জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিতর্কিত আইনগুলো স্থগিত করেছেন ও বিইআরসির ৩৪ক ধারা বাতিল করেছেন। বিইআরসির গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। সচিবদের তাঁদের আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নতুন বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বিচারপতির সমন্বয়ে কমিটি করে পূর্বের চুক্তিগুলো পর্যালোচনা এবং কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনার ব্যবস্থা করছেন। তিনি ইতিমধ্যে রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পদ্মার রেললাইন ও ব্রিজ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় তিনি বাংলাদেশের ভৌগোলিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, চলমান প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কাজ করতে আগ্রহী।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক, রেলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। হাইকমিশনার চলমান প্রকল্পগুলোয় কর্মরত ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান এবং সব প্রকল্পের কাজ অবিলম্বে শুরু করার আশ্বাস দেন। এ সময় সোলার এনার্জি ও ফ্লোটিং সোলার পার্কের বিষয়ে আলোচনা হয়। বিমসটেকের প্রস্তাবের আলোকে নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাওয়ার কানেকটিভিটি (বিদ্যুৎ সহযোগিতা) নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।