খুলনা ও বরিশাল দুই সিটিতেই এগিয়ে নৌকা
খুলনা ও বরিশাল—দুই সিটির নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। খুলনায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক এগিয়ে আছেন। আর বরিশালে এগিয়ে নৌকার আবুল খায়ের আবদুল্লাহ।
দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা। খুলনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুল আউয়াল। আর বরিশালে দলটির প্রার্থী মো. ফয়জুল করিম।
খুলনায় মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। এ পর্যন্ত পাওয়া ১৫০ কেন্দ্রের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৫৩৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আবদুল আউয়াল পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৩৭ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৩৪ ভোট।
বরিশাল সিটিতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬। এর মধ্যে ৩০টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীকের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৯৭ ভোট। আর ইসলামী আন্দোলনের মো. ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৪০ ভোট।
এবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সিটি করপোরেশনের মধ্যে মোট ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। মোট ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিশাল সিটিতে ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন। সিটির মোট ভোটকেন্দ্র ১২৬টি। এখানে ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩০ আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা ১০। কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ১১৬ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জন।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন পাঁচ প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান (মুশফিক)।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁরা হলেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নৌকা), মো. কামরুল আহসান (স্বতন্ত্র, টেবিলঘড়ি) মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাতপাখা), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (স্বতন্ত্র, হরিণ), মিজানুর রহমান বাচ্চু (জাকের পাটি, গোলাপ ফুল), মো. ইকবাল হোসেন (জাতীয় পার্টি, লাঙ্গল) এবং মো. আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র, হাতি)।