আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে

চট্টগ্রাম নগরের পলো গ্রাউন্ড মাঠে আসা নেতাকর্মীদের একাংশ
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চট্টগ্রামে শুরু হওয়া আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলো গ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এক দফা এক দাবি। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আজকে চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আন্দোলনে পতন হবে সরকারের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন। আজকে চট্টগ্রামের সমাবেশে উপস্থিত লাখ লাখ মানুষের স্লোগান একটাই—সরকারের পতন।

আরও পড়ুন
নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা ও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভাগীয় গণসমাবেশ করে চট্টগ্রাম বিএনপি। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে
ছবি: জুয়েল শীল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি মানুষকে বলেছেন কম খান। কম বিদ্যুৎ জ্বালান। সামনে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তাহলে আপনি আছেন কেন। এখনই ক্ষমতা ছাড়েন। নইলে পালানোর পথ পাবেন না।’

বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। তাই সবকিছু লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। দেশের মানুষ গরিব হয়ে আছে। শেখ হাসিনার ১০ টাকার চাল এখন ৭০ টাকা। চালসহ নিত্যপণ্যের দাম তিন থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে। সামনে বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হবে। পেট্রল, গ্যাস, পানির দামও বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ার কারণে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে কানাডার বেগমপাড়া ও লন্ডনে বাড়ি করছে তারা।

আরও পড়ুন

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশের বিচার বিভাগসহ সবকিছু দলীয়করণ হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। নগরের পোলো গ্রাউন্ড মাঠ পূর্ণ হয়ে আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।