নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন খেলা হবে রাজনীতির: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের খেলা শেষ, পাঁচ বছরের জন্য এখন খেলা হবে রাজনীতির। তিনি আরও বলেন, এখন খেলা হবে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, লুটপাট ও অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই জনসভার আয়োজন করা হয়। আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও শপথ নেন। তাই এই জনসভা রূপ নেয় বিজয় সমাবেশে।
জনসভায় ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মী অংশ নিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে তারা ঢোল বাদ্য বাজিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছেন।
জনসভায় বক্তব্যের শুরুতেই ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা শেষ ,ফাইনাল হয়ে গেছে সাত জানুয়ারি। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এদের আন্দোলন, কর্মসূচি সবই ভুয়া। তাদের ভবিষ্যৎ নেই, শুধু অন্ধকার।
জনসভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সন্ত্রাসের রাজনীতি বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারি দেশের মানুষ রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, ইশতেহার বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করতে হবে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন—জনসভায় এমনটাই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
দলের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ৭ জানুয়ারি মানুষ প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। বিএনপি না আসায় নির্বাচনে এর কোনো প্রভার পড়েনি।
জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও কামরুল ইসলাম, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে এই জনসভা শুরু হয়। বিকেল চারটার দিকে সভামঞ্চে এসে পৌঁছান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আসার পর গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও শাহাবুদ্দিন।