প্রতিটি রক্তকণার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে: বিএনপি

লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির কর্মসূচির এলাকা দখলে নেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নেতাকর্মীদের প্রতিটি রক্তকণার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি নেতাকর্মীরা গুলির সামনে বুক পেতে চরম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ শনিবার বিকেলে নোয়াখালী থেকে ঢাকা ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লার (বুলু)। এতে তিনি নিজে ও তাঁর স্ত্রী শামীমা বরকতসহ (লাকী) কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাত পৌনে আটটার দিকে রাজধানীর বনানীতে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাতে  বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য তাবিথ আউয়াল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামা ওবায়েদসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

এ ঘটনার পরে রাত সাড়ে আটটায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, আজ সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে এই অবৈধ নিশিরাতের সরকারের পেটোয়া বাহিনী এবং তাদের দলীয় সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনি ভেবেছেন আপনার কর্মীরা নির্দ্বিধায় এসব অপকর্ম করে যাবে আর বিএনপি চুপ করে থাকবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমরা প্রতিটি রক্তকণার উপযুক্ত জবাব দেব। প্রতিটি আঘাতের উপযুক্ত জবাব দেব।’

আরও পড়ুন
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
ফাইল ছবি

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কোনো র‍্যাব নেই, পুলিশ নেই। কিন্তু আমরা দুই হাত দিয়ে গুলির সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তেমনি চরম প্রতিরোধের দিকেও এগিয়ে যেতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘বরকত উল্লাহ বুলুর রক্ত কি জাতীয়তাবাদী শক্তি মেনে নেবে? আজকে তাবিথ আউয়ালের রক্ত কি মেনে নেবে? আজকে সেলিমা রহমানের ওপর উপর্যুপরি যে আঘাত, এটা কি মেনে নেবে? এটা কোনো দিন মেনে নেবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই করছিলাম, কিন্তু আমরা গান্ধীবাদে বিশ্বাস করি না, আমরাও প্রতিরোধ করতে জানি।’

আরও পড়ুন

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল বনানীতে। সেই কর্মসূচিও আওয়ামী লীগের সহ্য হয়নি। সেখানেও বর্বর হামলা চালিয়েছে তারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য যিনি সরকার চালিয়েছেন, সেলিমা রহমান তিনিও হামলা থেকে রেহাই পাননি। কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের পেটোয়াবাহিনী ইটপাটকেল মারা শুরু করে। তাবিথ আউয়াল একপর্যায়ে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে, সেখানে ঢুকেও তাঁর ওপর হামলা করে। সে এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণ। সেখানে শ্যামা ওবায়েদ আহত হয়েছেন, ছাত্রদল–যুবদলের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁরা গত ১৪ বছরে পেলেপুষে একটা নেকড়ে বাহিনী তৈরি করেছে। তাদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন