সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী: সাশ্রয়ী মূল্যে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আসবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল আমদানি করতে ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে তুলনামূলক স্বল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজেল, অকটেন, ফার্নেস তেল, এভিয়েশন ফুয়েল আমদানি করা সম্ভব হবে।
ভারত সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বিকেল চারটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন হয়। সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো এ সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করেন শেখ হাসিনা। তাঁর এ সফরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জ্বালানি তেলের আমদানি উৎস বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে গত ২৮ আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে (আইওসিএল) জিটুজি ভিত্তিতে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আইওসিএলের অন্তর্ভুক্তির ফলে তুলনামূলক স্বল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজেল, অকটেন, ফার্নেস তেল, এভিয়েশন ফুয়েল আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশের জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
ভারত সফরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। লিখিত বক্তব্যে সেসব তুলে ধরেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, যার মাধ্যমে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত। ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তসীমান্ত রেলসংযোগে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতীয় নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ে, সংবাদমাধ্যমে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আমি বাংলাদেশের জন্য যে প্রীতি ও সৌহার্দ্য লক্ষ্য করেছি, তা সত্যিই অসাধারণ। এই প্রীতির সম্পর্ককে সুসংহত করে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। এই সফরে সহযোগিতার যেসব ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।’